পারিবারিক এবং যৌন সহিংসতার মতো অপরাধগুলো আমরা শিখে থাকি আমাদের চারপাশের পরিবেশ এবং আমাদের সংস্কৃতি থেকে। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি, যার নিরাময় সম্ভব। পরিবার এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পারিবারিক সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা আমাদের চিন্তাজগতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাই পারিবারিক পর্যায়ে সহজ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই সহিংসতা থেকে মুক্ত হতে পারি। সেগুলো হলো:
১. আপনার সন্তান যদি টেলিভিশনে সহিংসতা দেখে তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করার মত চিন্তা করতে তাকে উৎসাহিত করুন।
২. আজ থেকেই বন্ধুদের নানা ধরনের দক্ষতার প্রশংসা করা শুরু করুন। তাদের পোশাক পরিচ্ছদ আর চেহারাটিকে রেহাই দিন এবং তাদের কাজ নিয়ে বলুন।
৩. ‘শাড়ি, চুড়ি পরে থাক’, ‘ছেলে হয়ে মার খেয়ে এসেছ!’, ‘ছেলেরা কাঁদে না’, ‘মেয়েরা হাড়িপাতিল খেলবে, ছেলেরা ক্রিকেট’, ‘মেয়ে হয়ে এত হাসি কেন’ এই জাতীয় কথা বলা বন্ধ করুন। এইধরণের কথাবার্তা সবাইকে আহত করে।
৪. অন্যদের নিচু জাতি হিসেবে ভেবে দেখার মানসিকতা বাদ দিন। বৈষম্যসূচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে অন্যের উপর বলপ্রয়োগ করার মতো ন্যাক্কারজনক কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. সমাজে নেতৃত্বদানকারীদের কাছে যেয়ে বলুন শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানি কখনই সমর্থন করা হবেনা- এই জাতীয় ভাবধারা যেন জোরালোভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন তারা।
৬. ছেলে সন্তানদের স্নেহপরায়ণ হতে শেখান, মেয়ে সন্তানদের শক্ত হতে সেখান।
৭. ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যদি আলিঙ্গন বা চুমু নিতে অস্বস্তি প্রকাশ করে তবে তাদের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করুন এবং এই জাতীয় কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেন্ডার সমতার ব্যাপারে সোচ্চার হন। নিজ নিজ এলাকা কিংবা স্কুলে এ প্রসঙ্গে সবার সাথে আলোচনা করার মত পরিবেশ গড়ে তুলুন।