এই রোদ-এই বৃষ্টি, এরমাঝেই ঘরে বা বাইরে শুধু কাজ আর কাজ। এতো ব্যস্ততায় যা করা হয় না, তা হলো নিজের যত্ন। আর তা পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সবারই। বিশেষ করে ত্বকের। অথচ ধুলো-বালি-দূষণের প্রথম শিকার এই ত্বকই। খুুব বেশি না, সারাবছর মাত্র তিনটি ধাপ ভালোভাবে মেনে চললেই হয়ে যায় ত্বকের যত্ন। আসুন জেনে নেই ধাপগুলো।

পুরুষ, নারী নির্বিশেষে সবাই ত্বকের যত্নে সচেতন হচ্ছে
ত্বক পরিষ্কার
সকালে ঘুম থেকে উঠে ও বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই একটি ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এটি মুখত্বকের ঘাম, তেল, ধুলোবালি, ময়লা, পরিষ্কার করতে পারে। তবে নিজের পছন্দমতো যেকোনো একটা ক্লিনজার ব্যবহার করলেই চলবে না। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। যেমন, শুষ্ক ত্বকে পেট্রোলাটাম, মিনারেল অয়েল, ল্যানোলিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। আবার তৈলাক্ত বা ব্রণের সমস্যা আছে এমন ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক অ্যাসিড , গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, বেনজোয়েল পারঅক্সাইড, টি ট্রি অয়েল, নায়াসিনামাইডযুক্ত ক্লিনজার সবচেয়ে ভালো।

ত্বক মসৃন ও উজ্জ্বল করতেএক্সফোলিয়েশনের বিকল্প নেই
মৃতকোষ দূর করা
ত্বকের মৃতকোষ পরিষ্কার করাটা জরুরি। এতে ত্বক শুধু মসৃণ ও উজ্জ্বলই হয় না, ত্বকের ভিতর অন্যান্য স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট খুব ভালোভাবে প্রবেশ করে। এজন্য সপ্তাহে অন্তত একবার এক্সফোলিয়েশন বা স্ক্রাব করতে হবে। ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল – এই দুই ধরণের এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করা যায়। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর খুব কোমলভাবে ত্বকের মৃতকোষ দূর করে। আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডস যেমন ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এবং বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিডস যেমন স্যালিসাইলিক অ্যাসিড- এগুলো কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর। এগুলো মাত্র ১০ মিনিটেই ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে পারে।
ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর বা স্ক্রাব চাইলে ঘরেই বানানো যায়। দরকার কেবল দুই চামচ মিহি গুঁড়া চিনি বা লবণ বা কফি এবং দেড় চামচ অলিভ অয়েল। দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে পাঁচ মিনিট। এরপর পাঁচ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বছরে ৩৬৫ দিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেত হবে
সারা বছর ময়শ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন
অনেকে গরমে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু শীতের মত গরম ও বর্ষায়ও ত্বক আর্দ্রতা হারাতে পারে, হতে পারে পানিশূন্য। তাই ত্বক সুস্থ-স্বাভাবিক দেখাতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম-বেজড ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল-বেজড ময়শ্চারাইজার উত্তম।
ময়শ্চারাইজারের মত সারা বছর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। কারণ সূর্যের ক্ষতিকারক বেগুনি রশ্মি রাত ছাড়া কখনোই ছুটিতে থাকে না। আর এটিই ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধে ও ক্যান্সার থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হয়। এমন কী রান্নাঘরের তাপ থেকেও ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।