জলবায়ু আন্দোলনের প্রিয় মুখ গ্রেটা থুনবার্গ এইবার এক ভিন্ন অভিযানে। ইতালির সিসিলি থেকে গাজার দিকে ছোট্ট একটি জাহাজে চড়েছেন তিনি, নাম ‘ম্যাডলিন’ (Madleen)। উদ্দেশ্য, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কিছুটা মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো, এবং একই সঙ্গে সাগরপথ অবরোধের বিরুদ্ধে বিশ্বসম্প্রদায়কে নাড়া দেওয়া।
এক ঝাঁক এক্টিভিস্ট আর মনোযোগ কাড়ার মতো ক্যামেরা সব মিলিয়ে এই অভিযান এখন বিশ্ব গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে। কিন্তু গাজার মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে এই উদ্যোগ কতটা দরকারি, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইসরায়েলের নৌবাহিনী জাহাজটিকে আটক করেছে। গ্রেটা ও জাহাজের অন্যান্যদের মুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী চলছে আন্দোলন। তবে সমালোচকরা বলছেন, ত্রাণের চেয়ে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ যেন একটু বেশি।
দ্য ফরোয়ার্ড-এর (The Forward) ডেপুটি ওপিনিয়ন এডিটর, নোরা বারম্যান লিখেছেন, “চোখে পড়ার মতো এই প্রতিবাদ হয়তো সেই অসংখ্য অনাহারী গাজাবাসীর দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে। যাদের জন্য এই ত্রাণ।” (নোরার পুরো লেখাটি পড়ুন)
অবশ্যই, কোনো পদক্ষেপই একেবারে বৃথা যায় না। এমন প্রতীকী মিশন কখনো কখনো মানবতার পক্ষে জনমত তৈরি করতেও পারে। গ্রেটা’র উপস্থিতি এ আন্দোলনকে বিশ্বজুড়ে তরুণদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তবে প্রশ্নটা থেকে যায়, সাধারণ গাজাবাসী কি এই বার্তার উপকার টের পাচ্ছে?
গ্রেটা থুনবার্গের এই সাহসী যাত্রা নিঃসন্দেহে নৈতিকভাবে প্রশংসনীয়। তিনি বিশ্বকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন নির্বাক থাকা আর সহমর্মিতা হারানো এক নয়। তবে মাঠের বাস্তবতা জোরালো। যেখানে প্রতীক নয়, প্রয়োজন খাবার, ওষুধ আর নিরাপত্তার। নাকি বার্তাটাই সব, বাকিটা কেবল নিস্তেজ ঢেউয়ের শব্দ? চিন্তকেরা জানাচ্ছেন, তারা সহানুভূতি হারাননি কিন্তু সন্দেহও থেমে নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য ফরোয়ার্ড, দ্য গার্ডিয়েন লাইভ, এপি নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্ট