গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ। আজ মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল ও নায়িকার পারিবারিক সূত্র। মাত্র ৩০ বছর বয়সে চলে গেলেন এই অভিনেত্রী। গত ৩ জুন থেকে ধানমন্ডির ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নায়িকার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি তখনো জীবিত ছিলেন, তবে শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
গতকাল (সোমবার) চিকিৎসকরা জানান, সুবহার হৃদযন্ত্র কিছুটা সচল থাকলেও তার মস্তিষ্ক আর কাজ করছিল না। তখন তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা হয়। তবে তখনো লাইফ সাপোর্ট চালু রেখেছিলেন, কারণ পরিবারের সদস্যরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছিলেন; বিশেষ করে নায়িকার স্বামীর সিদ্ধান্তের।
২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিন সুবহা। প্রথমে আফতাবনগরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন। তবে সন্ধ্যায় আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বনশ্রীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
২০১২ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান-ম্যাঙ্গোলি নাচো বাংলাদেশ নাচো’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তানিন সুবহা। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়লেও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটক-সিনেমায়। ‘মাটির পরী’ দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। পরে আরও বেশ কিছু সিনেমায় নাম লেখান তিনি। শুটিং শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার বেশ কিছু সিনেমা।