Home বিজ্ঞান পৃথিবী ধ্বংসের তথ্য দিলো সুপার কম্পিউটার

পৃথিবী ধ্বংসের তথ্য দিলো সুপার কম্পিউটার

৪৬ views

দিনদিন বাড়ছে সূর্যের বয়স। পৃথবীর উপর আগের চেয়ে অনেক বেশি তাপ বর্ষণ করবে সূর্য। যা পৃথিবীর জলবায়ু ও  বাস্তুসংস্থানকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। অক্সিজেন উৎপাদন কমে যাবে। প্রচুর পরিমাণে পানি বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। কার্বনচক্র সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে।

আর এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাবে এই গ্রহ। এ কোনও বাবা ভাঙ্গা বা নস্ট্রাদামুসের পূর্বাভাস নয়, নয় কোনও মোহন্ত বা কোনও বাবার যোগলব্ধ প্রজ্ঞা। এই পূর্বাভাস দিয়েছেন স্বয়ং সুপার কম্পিউটার। নেচার জিওসায়েন্স ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সূর্য

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে সূর্য, ছবি : ইউনি লিড টেক

১০০ কোটি বছরের মধ্যে সুপার কম্পিউটারের সিমিউলেশনের মাধ্যমে সম্প্রতি পৃথিবীর সম্ভাব্য ধ্বংসের সময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সূর্যের ক্রমবর্ধমান তাপের প্রভাব ও অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব ১০০ কোটি বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সুপার কম্পিউটারটি।

সুপারকম্পিউটার সিমিউলেশন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, পৃথিবীর অক্সিজেন প্রায় ১০০ কোটি বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবীতে কোনো প্রাণির বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সুপার কম্পিউটার বলছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে সূর্য। তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে পৃথিবীর জলবায়ুর উপর। পানি বেশি বাষ্পীভূত হবে। পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রাও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

গলে যাচ্ছে সূর্য

ভবিষ্যতে বিশ্বে উষ্ণায়ন বাড়বে, ছবি : ইয়াহু নিউজ

ফলে তখন কার্বনচক্র দুর্বল হয়ে পড়বে। উদ্ভিদকুল ধ্বংস হবে। আর উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডলে তখন প্রচুর মিথেন থাকবে। আর এরকম চলতে থাকলে পৃথিবী তার আদিম অবস্থায় ফিরে যেতে পারে তখন।

তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজুমি ওজাকি জানিয়েছেন, কার্বনেট-সিলিকেট-নির্ভর ভূরাসায়নিক চক্রের উপর ভিত্তি করে জীবমণ্ডলের আয়ুষ্কালের তথ্য জানিয়েছে এই সুপার কম্পিউটার। সেখানে তাত্ত্বিক কাঠামোর মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের স্তর ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।

ভবিষ্যতে বিশ্বে উষ্ণায়ন বাড়বে। পৃথিবীতে অতিরিক্ত উত্তাপ ও সালোকসংশ্লেষণ ঘটবে। আর এর ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘাটতি দেখা যাবে। কী হবে তখন? শেষ হয়ে যাবে জীবকুল? মারা যাবে মানুষ?

সূত্র: নেচার জিওসায়েন্স ও ইয়াহু নিউজ

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ