Home সর্বশেষ সংসার শুরুর আগে মুকেশকে যে শর্ত দিয়েছিলেন নীতা

সংসার শুরুর আগে মুকেশকে যে শর্ত দিয়েছিলেন নীতা

১১ views

বর্তমানে তার নাম বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রধান ও ধীরুভাই অম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপারসন, সবার জন্য শিক্ষা এবং খেলাধুলা (Education and Sports for All) উদ্যোগের প্রধান, আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মালিক।

তবে এসব পরিচয়ের বাইরেও নীতা অম্বানি একসময় ছিলেন একজন সাধারণ স্কুল শিক্ষিকা। সামনে এল আম্বানি পরিবারের এক বিরাট রহস্য। জানা গেল, বিয়ের আগে মুকেশ আম্বানির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছিলেন তিনি। বিয়ের আগে নীতা অম্বানি ছিলেন নীতা দালাল।

তিনি বড় হয়েছেন এক সাধারণ গুজরাটি পরিবারে। তার বাবা, রবিশঙ্কর দালাল বিড়লা গ্রুপে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। নীতা তার কর্মজীবন শুরু করেন সানফ্লাওয়ার নার্সারি স্কুলে শিক্ষকতা করে। সেখানে বেতন ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। শৈশব থেকেই নৃত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। নীতা একজন প্রশিক্ষিত ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী।

এক অনুষ্ঠানে তার এই নৃত্য উপস্থাপন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি। এরপরই তিনি নীতাকে নিজের পুত্রবধূ হিসেবে সংসারে আনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।  তারপরেই নীতার বাবার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেন।

মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি

মুকেশ আম্বানি নীতার শর্ত বিনা দ্বিধায় মেনে নিয়েছিলেন, ছবি : টাইমস অব ইন্ডিয়া

তবে প্রথমে বিয়েতে সম্মত হননি নীতা। তার দুশ্চিন্তা ছিল বিয়ের পরেও তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা। মুকেশ আম্বানি এক ধনকুবের পরিবারের ছেলে। নীতা সেই সময়ে নিজে ছিলেন একজন মধ্যবিত্ত, কর্মজীবী নারী। সেই সময় তিনি একটি স্পষ্ট শর্ত রাখেন মুকেশ আম্বানির সামনে, বিয়ের পরও তিনি শিক্ষকতার কাজ চালিয়ে যাবেন।

মুকেশ আম্বানি তার এই শর্ত বিনা দ্বিধায় মেনে নিয়েছিলেন। সেই কথাই একবার টিভি শোতে জানান দুজন। মুকেশ বলেন, ‘বিয়ের পরের বছরই নীতা স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে’। নীতা বলেন, ‘আমি সানফ্লাওয়ার নার্সারিতে কাজ করতাম, আর আমার মাসিক বেতন ছিল ৮০০ টাকা’।

মুকেশ মজা করে বলেন, ‘আর সেই টাকাতেই আমাদের ডিনারের খরচ চলত’। নীতা জানান, অনেকে তখন তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠাট্টা করত। বলত ‘এত বড় পরিবারে বিয়ে করে স্কুলে পড়ানো কেন? তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষকতা আমায় এক তৃপ্তি দিয়েছে। আজ আমি যে জায়গায় পৌঁছেছি সেটা সেই শিক্ষকতার জন্যই।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও জি নিউজ

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ