ঈদের সময় অতিরিক্ত তেল-মসলা যুক্ত ভারী খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীর ক্লান্ত ও ভারী অনুভূত হতে পারে। তাই ঈদের পর শরীরকে ফিট রাখতে ডিটক্স করা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডিটক্স ওয়াটার হতে পারে সহজ ও কার্যকর সমাধান। এটি এমন এক ধরনের পানীয় যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত পানি এবং বিভিন্ন ফল, সবজি, বা ভেষজ মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
ডিটক্স ওয়াটারের উপকারিতা অনেক। যেমন, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে, পরিপাক তন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়, ওজন কমাতে সহায়তা করে, ত্বক উজ্জ্বল করে; পাশাপাশি শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করার ক্ষমতা রাখে।
চলুন, এবার জেনে নেওয়া যাক ৪টি সহজ ডিটক্স ওয়াটারের রেসিপি, যা ঈদের পর শরীরকে ফ্রেশ ও হালকা রাখতে সাহায্য করবে-
লেবু ও পুদিনা ডিটক্স ওয়াটার
এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। এজন্য লাগবে- ১টি লেবু (পাতলা স্লাইস করা), কয়েকটি পুদিনা পাতা, ১ লিটার পানি।
একটি জগে পানি নিন। তাতে লেবুর স্লাইস ও পুদিনা পাতা যোগ করুন। কয়েক ঘণ্টা বা সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে ঠান্ডা বা সাধারণ তাপমাত্রায় পান করুন।
শসার ডিটক্স ওয়াটার ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেট রাখে, ছবি: ফ্রিপিক
শসা ও আদা ডিটক্স ওয়াটার
শসা শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং আদা হজমে সহায়তা করে। ১টি ছোট শসা ও ১ চা চামচ আদা ১ লিটাত পানিতে মিশিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে দিন। সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন।
আপেল ও দারুচিনি ডিটক্স ওয়াটার, ছবি: ফ্রিপিক
আপেল ও দারুচিনি ডিটক্স ওয়াটার
এই পানীয় বিপাক হার বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১টি আপেল ও ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এটি সুগন্ধযুক্ত ও হালকা মিষ্টি স্বাদের হয়। তাই এই ডিটক্স ওয়াটার পান করতে ভালো লাগবে।
কমলা ও তুলসী পাতা ডিটক্স ওয়াটার
কমলায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য ভালো, আর তুলসী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এজন্য লাগবে ১টি কমলা (স্লাইস করা), কয়েকটি তুলসী পাতা ও ১ লিটার পানি। পানিতে কমলা ও তুলসী পাতা মিশিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা রেখে দিন। তৈরি হয়ে রিফ্রেশিং কমলার ডিটক্স ওয়াটার।
ঈদের পর শরীরকে ফিট ও সতেজ রাখতে এই ডিটক্স ওয়াটারগুলো নিয়মিত পান করুন। এগুলো সহজেই ঘরে তৈরি করা যায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকবে!
