রেমা-কালেঙ্গা নামের সাথে প্রথম পরিচয় সাধারণ জ্ঞানের বইয়ের পাতায়। সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এই জঙ্গল। সুন্দরবন দেখা হলেও রেমা-কালেঙ্গায় কখনো ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আমাদের অফিস থেকে উদ্যোগ না নিলে হয়তো এই অদ্ভুত সুন্দর জায়গা অদেখাই থেকে যেতো। অফিস থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছিলো। প্রতিদিন ৯-৬ টা রুটিনে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আমি আর আমার সহকর্মী বৃষ্টি আপু ঢাকার বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রায়ই ছটফট করতাম। কবে যে একসাথে একটু প্রকৃতির কাছে যাবো!
একদিন অপেক্ষার পালা শেষ হলো। আমাদের সহকর্মী মাহফুজ ভাই ট্যুরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন; গন্তব্য রেমা-কালেঙ্গা। শুরু হলো বাকি আয়োজন। গাড়ি ভাড়া করা, কে কী কী নিয়ে যাবো তা নিয়ে আলাপ আলোচনা ও মাহফুজ ভাইয়ের দিক নির্দেশনা।

ছবি: সিএমসি কটেজের সামনে আমরা ক’জন।
আমরা সবাই ভ্রমণের জন্য মুখিয়ে! যতই দিন ঘনিয়ে আসলো উৎসাহ যেন বাড়তেই থাকলো। মাহফুজ ভাই বার বার বলছিলেন, সেখানে জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী দেখা ছাড়া করার আর কিছুই নেই! আমরা তাতেই খুশি। তখন ঢাকা ছাড়ার আনন্দই আমাদের কাছে সব, কোথায় যাচ্ছি তা পরে দেখা যাবে। ১৫মে সকাল দশটায় অফিস থেকে রওনা হলাম। আমাদের ১০ জনের দলের সঙ্গী হিমেল ভাই, মাহফুজ ভাই, বৃষ্টি আপু, শোভন ভাই, রবিউল ভাই, শরিফ ভাই, সুলতান ভাই, চঞ্চল ভাই, রিফাত আর আমি।
ঢাকার চিরচেনা জ্যাম পার করতে বেশ খানিকটা সময় চলে গেলো। প্রথম বিপত্তি বাঁধলো গান শুনতে গিয়ে। কারো মোবাইল গাড়ির অডিও প্লেয়ারের সাথে কানেক্ট হচ্ছিলো না। কিন্তু তাতে কি আর গান থেমে থাকে? বৃষ্টি আপুর ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে চলতে থাকলো একের পর এক রকমারী গান। অফিসে যাদের খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না, তারাও গলা মিলাচ্ছে। সাথে খুনশুটি তো আছেই!

ছবি: সবুজ কালো রঙের মিশেলে এক ‘সুন্দরী’ বেত আঁচড়া সাপ।
ঢাকা থেকে সিলেটের দিকে যাওয়ার রাস্তা আমার বরাবরই খুবই প্রিয়। ধূসর ঢাকা ছেড়ে ধীরে ধীরে সবুজের দিকে আমাদের গাড়ি যেতে থাকে। এর মাঝে দুপুরে খাবারের জন্য বিরতি নিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দুরায়। সেখানে রাস্তার পাশে খুবই সাদামাটা টিনের-ঘরের হোটেলে আমরা মধ্যাহ্ন ভোজ সারলাম। টাকি মাছের ভর্তা, মাটির চুলায় রান্না করা গরুর মাংস আর পাতলা ডাল দিয়ে সাদা ভাত। ক্ষুদার কারণে, কিংবা ভ্রমণের রোমাঞ্চে সেই সাধারণ খাবারই লাগলো অমৃত!
এরপর আবার গাড়ি চললো। ততক্ষণে গুণী রিফাত কোনোভাবে তার ফোন গাড়ির অডিও প্লেয়ারে কানেক্ট করতে সক্ষম হয়েছে। আরো কিছু সুন্দর গান শুনতে শুনতে ও তেলিয়াপাড়া, সাতছড়ির চা-বাগান দেখতে দেখতে আমরা যেতে থাকলাম রেমা-কালেঙ্গার দিকে। পিচঢালা পথ শেষে শরু হলো মাটির রাস্তা, তার উপর আগেরদিন রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তার দশাসই অবস্থা। তখনও আরো পথ বাকি। আমাদের সাথে ছিল ভারী ক্যামেরা ও ট্রাইপড। এগুলো নিয়ে হাঁটাও সম্ভব না, গন্তব্য তখনও বেশ দূরে। মাহফুজ ভাই যদিও বললেন বেশি দূরে না, পায়ে হাঁটা পথ। তবে সেখান থেকে সিএনজিতে ওঠার পর বুঝলাম তার পায়ে হাঁটা পথ আর আমার পায়ে হাঁটা পথের মধ্যে পার্থক্য ও দূরত্ব অনেক বেশি। সিএনজি দিয়েও ‘পায়ে হাঁটা পথ’ পাড়ি দিতে সময় লেগেছিলো ১৫ মিনিট।
রোলার-কোস্টার রাইড থেকে কোনো অংশেই কম ছিল না সেই সিএনজি রাইড। প্রতি বাঁকেই মনে হচ্ছিলো এবার বুঝি পড়েই যাবো। পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা পথে সিএনজি চলছিলই বা কীভাবে তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তার উপর ঢাকার সিএনজিগুলোর মতো দুইপাশে গেটও নেই। তখন মাথায় শুধু দুইটা ভাবনা ছিলো। প্রথমত, এই দুর্গম পথের কথা জানলে আমার বাবা-মা কখনোই আসার অনুমতি দিতেন না। দ্বিতীয়ত, এ যাত্রায় বেঁচে বাসায় ফিরলে এপথে আর পা বাড়াবো না।

এই ঝিরি পার হওয়ার সময়ই প্রথম জোঁকের কামড় টের পাই!
আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু কাদামাটির পথ ধরে অবশেষে আমরা কটেজে পৌঁছালাম। রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ভিতরে যেন অপেক্ষা করছিলো সুন্দর সিএমসি কটেজ। চার রুমের টিন-শেডের নীল রঙের কটেজ দেখতে খুবই সুন্দর। সামনে সবুজ ঘাসের লন, বসার জায়গা আর চারদিকেই গাছের ঘন জঙ্গল। কটেজের সাথেই একটা নল যেখান থেকে মাটির নিচ থেকে সবসময় উঠে আসে ঠান্ডা সুপেয় পানি।
ফ্রেশ হয়ে আমরা সবাই হাঁটতে বের হলাম। জার্নিতে ক্লান্ত সবাই কিন্তু উৎসাহ তুঙ্গে। কটেজ থেকে বেড়িয়ে ছনবাড়ি বিটের দিকে আগাতে থাকলাম। সাথে ছিলেন ট্যুর গাইড, নোমান ভাই আর কটেজেরই একটি কুকুর। এই কুকুরের নাম আমরা দিয়েছিলাম ‘বাবু’। যতবার আমরা কটেজ থেকে বাইরে বেরিয়েছি বাবু আমাদের সঙ্গ দিয়েছে।
প্রথমদিন আমরা আশপাশ একটু দেখতে বের হয়েছিলাম, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার ফলে বেশি দূর যেতে পারিনি। তবে অনেকদিন পর সেদিন জোনাকি দেখেছিলাম। গাইড বলছিলেন আজকে রাতে ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে। কালকে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে হালকা চা-নাস্তা খেলাম। স্থানীয়দের সঙ্গে নান আলাপও হলো।
কটেজে ফিরে দেখলাম রাতের খাবারের জন্য চিকেন বারবিকিউর আয়োজন হচ্ছে। সারাদিন জার্নির পর রাতে খেয়ে শরীর আর চলছিল না। ক্লান্তিতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনেও নাই। সকালে ঘুম ভাঙলো ৭ টার দিকে। উঠে দেখি বৃষ্টি আপুরও ঘুম ভেঙেছে। বললো গতকাল আমি ঘুমিয়ে পড়ার পর সবাই জমিয়ে আড্ডা দিয়েছে অনেকক্ষণ।
রুম থেকে বের হয়ে নাস্তার জন্য গেলাম, তখন শুনলাম রাতে নাকি সবাই ভূতের উপদ্রবের শিকার হয়েছিল। টিনের চালে উপর প্রচন্ড বেগে কিছু পড়ার শব্দে কেউ নাকি ঘুমোতে পারেনি। শোভন ভাই তো ভেবেছিলো ডাকাত পড়েছে। যদিও সকালে সবাই বুঝলো ওটা টিনের চালে পাকা আম পড়ার শব্দ। যেহেতু আজ বেশ দীর্ঘ সময় ট্রেকিং করতে হবে, তাই আমরা সকালে খেলাম সাদা ভাত, আলু ভর্তা, ডিমের ঝোল, ডাল, তারপর এক কাপ রং চা। এরপরই ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ, ট্রেকিং শুরু।
আমরা যাচ্ছিলাম ডেবরাবাড়ি বিটের পথ ধরে, সঙ্গে গাইড। লক্ষি ‘বাবু’ ও ছিল আমাদের সাথে। আমি গাছপালা পশুপাখি অত ভালো চিনি না। যা দেখি তাই ভালো লাগে। বনের যত ভিতরে যাই পথ তত সরু হতে থাকে। হরেক রকম অচেনা পাখির ডাক শুনলাম। এরই মধ্যে অদ্ভুত এক ডাক সবার নজড় কাঁড়লো। ডাকটি তক্ষকের! ছোট্টি এক গিরগিটির আওয়াজ কত জোরালো না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না।
জঙ্গলে দেখলাম ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি। জলাশয়ে হরেক রকম ব্যাঙ। আঁকা-বাঁকা উঁচু নিচু পথে যেতে যেতে কতক্ষন হাঁটছি তা আর মনেই ছিল না। যেহেতু আমার হেঁটে অভ্যাস নেই তাই খুব সাবধাবে পা ফেলছিলাম। এই বুঝি পড়ে যাই! যে আমি পিচঢালা সমান রাস্তায় হাঁটতে হোঁচট খাই, সেই আমি একবারও পড়ে গেলাম না, সফল ভাবে চার ঘন্টার ট্রেকিং করলাম!

ছবি: শতবর্ষী তন্দুল গাছ
এখন আসি এই পথে আমার সব থেকে কি ভালো লেগেছে, ভেবেই নিয়েছিলাম বানরের দেখা তো পাবোই, তবে সবার আগে দেখা পেলাম সাপের। বিষধর নয়, কিছুটা সবুজ কালো রঙের মিশেলে এক ‘সুন্দরী’ বেত আঁচড়া সাপের দেখা পেয়ে গেলাম ঝোঁপের মধ্যেই। সবাই মিলে শুরু করলাম তার ফোটোশুট। মজার বিষয় সাপটাকে দেখে মনে হচ্ছিলো ক্যামেরার জন্য সে পোজ দিচ্ছে। চঞ্চল ভাই তো বলেই বসলেন, সাপটা মনে হয়ে আগে মডেল ছিল!
এরপর হাঁটতে হাঁটতে এবার আসলাম এক ঝিরির সামনে। গাইড ভাই বললেন, ঝিরি পার হতে হবে। পানি বেশি না, আমি ঝিরি পার হতে পায়ের কাপড় গুছাতেই দেখি রক্ত! যে ভয় ছিল তাই হয়েছে, একটা জোঁক রক্ত খেয়ে বেলুন হয়ে আছে। জীবনের প্রথম জোঁকের কামড় খাওয়ার অভিজ্ঞতাও হয়ে গেলো। তবে কেনো জানি ভয় পায়নি। এর আগে অবশ্য বৃষ্টি আপুর পায়েও জোঁক উঠেছিলো। দ্রুত বুঝতে পারায় পাতা দিয়ে ধরে তা ফেলে দেয়া গেছে।
বৃষ্টি আপুও আর বেশিক্ষণ রক্ষা পায়নি। আপুর পায়ে উঠেছিল সাতটা জোঁক। সুলতান ভাই প্রথম থেকে ভয়ে থাকলেও তারও শেষ রক্ষা হলো না, এক জোড়া জোঁকের কামড় খেতে হলো। এই জোঁকের ভয়েই শোভন ভাই ট্রেকিং করতেই আসেন নি। আমি মনে মনে ভাবলাম এখন গপ্পো দিতে পারবো জোঁকের কামড় খেলে কিছুই হয় না!
ঝিরি পার হয়েই বহু আকাঙ্খার বানরের দেখা পেলাম, আরো দেখলাম ছোট-বড় মাকড়সা। বাসায় দেখলে ভয় লাগে। কিন্তু বনের মাঝে এদের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করলো।

রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বাসিন্দারা
জোঁকের ভয়ে কাবু থাকলেও ক্লান্তি ছিল না কারো। সবাই হাঁটছে তো হাঁটছেই। বনের মাঝেই আবার স্থানীয়দের চাষের জমি। নাম না জানা ফুল ফলের গাছ! একপর্যায়ে আমরা পৌছালাম বনের সবচেয়ে পুরোনো ও বড় শতবর্ষী তন্দুল গাছের কাছে। এত বড় সাদা বাকলের গাছ দেখে মনে হচ্ছিলো যেন পুরো বন সে আগলে রেখেছে। গাছের নিচে দাঁড়ালে এর মাথাও ঠিক ভাবে দেখা যায় না এতো লম্বা। সেখানে কিচ্ছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর আবার হাঁটা শুরু।
এতটা হেঁটেও আমার একটুও খারাপ লাগেনি। তবে ফেরার যাত্রাটা কিছুটা কষ্টের ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে সে কষ্টও প্রশমিত হয়। সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে পারছিলাম না, তবে শরিফ ভাই তখন আমাকে বেশ সাহায্য করেছেন। নিজের কাঁধে ভারি ক্যামেরার বোঝা থাকার পরও আমার ব্যাগ নিয়ে এসেছেন। শুধু তাই না, পুরো সময়টা মজা ও খুনসুটি করে মাতিয়ে রেখেছেন তিনি।
পানি খেয়ে ঢুলুঢুলু হওয়ায় ফেরার পথটা আমার অনেক দীর্ঘ মনে হয়েছে। অবশেষে চার ঘন্টা বন-জঙ্গলে হাঁটার পর আমরা কটেজের দেখা পেলাম। পৌঁছানো মাত্র আমি গোসল করে নিলাম, তখন একটু স্বস্তি লাগলো। এতক্ষণ হাঁটার পর আমরা সবাই ক্ষুদার্ত। দুপুরে খেলাম টাকি মাছের ঝাল ঝাল ভর্তা, ডিমের তরকারি আর ডাল-ভাত।
এবার বিদায়ের পালা। সিএনজি দিয়ে মাটির রাস্তা একই কায়দায় পারি দিয়ে পৌছালাম গাড়ির কাছে। গাড়িতে ঢাকা ফেরার পথে আমরা সাতছড়িতে বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সামনে একটু থামলাম। প্রধান ফটকের অপরপাশে এক দোকান থেকে চা খেয়ে নিলাম। আবার প্রমাণিত হলো সিলেটের চা কখনোই খারাপ হয় না।

ছবি: তেলিয়াপাড়া চা বাগানে টিম হ্যালো বাংলাদেশ
এরপর নামলাম তেলিয়াপাড়া চা বাগানে। কিছু ছবি তুলে গাড়ি আবার ছুটলো ঢাকার দিকে। তবে ভৈরব এসে দেখলাম আকাশে ঘন কালো মেঘ, বুঝলাম ঝড় আসছে। কিছুক্ষন পরেই শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতে সবার এনার্জি যেন আরো বেড়ে গেল। সবাই অনুরোধে রিফাত সবার প্রিয় গানগুলো বাজালো।
আমরা ঢাকা ফিরতে ফিরতে বৃষ্টিও থেমে গেলো। সব শেষে নামলাম আমি আর বৃষ্টি আপু। পরের দিনই অফিস আসতে হবে, ঘুমাতে পারবোনা ভেবেই মনে হয় আরো ক্লান্ত লাগছিলো।
একটা ছোট ট্রিপ, অথচ কত স্মৃতি, কত চেনা মুখের অচেনা রূপ। অফিসে সর্বদা সিরিয়াস হয়ে কাজ করা মানুষগুলোর ভ্রমণে গিয়ে শিশুসুলভ উৎসাহ দেখলাম, এ যেন সবাইকে নতুন করে চেনার অভিজ্ঞতা দিলো। আর সবচেয়ে বড় কথা—নিজেকে নতুন করে চেনা। ভ্রমণ বলতেই আমি সারাজীবন আরামপ্রিয়, রিল্যাক্সড ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি যে ট্রেকিং করতে পারি, দুইটা ঝিরি পেরুতে পারি, জোঁকের কামড় খেয়ে ভয় না পেয়ে হাঁটতে পারি—এ অভিজ্ঞতা আমার কাছে এক বিশাল প্রাপ্তি।
ভ্রমণের পর যতটা ক্লান্ত হব ভেবেছিলাম এত কিছু করার পর মনে হল শরীর আরো সুস্থ লাগছে, এক অদ্ভুত ভাল লাগা কাজ করলো আমার ভেতর। রেমা-কালেঙ্গা আমার স্মৃতিতে এক সুন্দর অনুভূতি হয়ে থাকবে। আমার জীবনে রেমা-কালেঙ্গার মত প্রকৃতির কাছে যাবার ট্রিপ আবার ফিরে আসুক!