সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা। রাত গড়িয়ে ভোর। এরপরও থেমে নেই ডিজিটাল এলইডি বিল বোর্ড। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে বিশাল আকারের এই বিল বোর্ডগুলো। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দিনের বেলায় এসব বিল বোর্ডের প্রচারিত বিজ্ঞাপন চোখে না পড়লেও সন্ধ্যার পর তা কারো নজর এড়ায় না। বিভিন্ন কোম্পানির নানা ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপনের প্রচার করা হয় এসব ডিজিটাল বোর্ডে। দর্শক না থাকলেও বিরতিহীন চলে বিজ্ঞাপনের প্রচার!

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিল বোর্ডে বিজ্ঞাপন, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
এলইডি বোর্ডে কখনো বিজ্ঞাপন প্রচারে বিঘ্ন ঘটে না! টানা প্রচার করা হয় পণ্যের বিজ্ঞাপন। বলতে গেলে ননস্টপ বিজ্ঞাপন প্রচারের ঝামেলাহীন মাধ্যম। বিশাল আকারের এই বোর্ডে চাল, তেল, জুস থেকে শুরু করে সিমেন্ট, ইস্পাত, স্বর্ণ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হয়। অবশ্য কারা এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখে তা নিয়ে কোনো সঠিক প্রতিবেদন প্রকাশ না হলেও এসব বোর্ডের ইজারার জন্য অনুমতি নিতে হয় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন থেকে।

একটি জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে জনপ্রিয় মডেল সারিকা সাবরিন, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
দেশের নামীদামী কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় এই বিল বোর্ডগুলোয়। তবে জ্যামের ঢাকায় এসব বিজ্ঞাপন নিছক আনন্দের খোরাক হয় অনেক মানুষের। লম্বা সময় জ্যামে বসে বিরক্ত হওয়ার চেয়ে বিরতিহীন বিজ্ঞাপন উপভোগ করা মজার। তবে ঈদের ছুটিতে জ্যাম না থাকায় এলইডি বিলবোর্ডের আলোয় রঙিন হয়ে উঠে চারপাশ। তাতে ভিন্নমাত্রা যোগ করে খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে।

ডিজিটাল বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন চেয়ে বিজ্ঞাপন, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে ঝালমুড়ি বা অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করা মানুষ এই বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনগুলো দেখে। অনেক সময় ক্রেতা না থাকায় চেয়ে চেয়ে বিজ্ঞাপন দেখি। জানান একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা। হাসতে হাসতে তিনি আরও জানান, একই বিজ্ঞাপন কিছুক্ষণ পর পর দেখায় তাও দেখি। মানুষের শব্দে কিছু বুঝা যায় না। তবে সময় কাটানোর জন্য তাকিয়ে থাকি আর কি।

একটি কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতার সঙ্গে তালমিলিয়ে একই রকম কথা বললেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থাকা কয়েকজন রিক্সাচালক। তারা জানায়, যাত্রী না থাকলে অপেক্ষা করি। আর মাঝেমধ্যে বড় টিভির বিজ্ঞাপন দেখি। এখানে একই জিনিস বার বার দেখায়। অবশ্য খেটে খাওয়া মানুষ ছাড়া ব্যস্ত ঢাকায় কারো সময় নেই রাস্তায় থেমে পণ্যের খবর নেওয়ার! প্রসঙ্গগত, চার ধরনের ডিজিটাল বিলবোর্ড রয়েছে রাজধানীতে। এগুলো হলো ৮, ১০, ২৪ ও ৯৬ বর্গফুট।