বিশ্বের সব থেকে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প,অন্যদিকে বিশ্বের ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। কয়েকদিন আগেও এই দু’জনের বন্ধুত্বের সুন্দর দিকগুলো নিয়ে মিডিয়ায় নানান চর্চা ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এখন বন্ধুত্বের ফাটল থেকে একে অন্যের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে উত্তাল আমেরিকার রাজনীতি। ট্রাম্প ও ধনকুবের মাস্কের ঝগড়া নিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে জানা যায়, হোয়াইট হাউজে রীতিমতো মারামারিতে জড়িয়ে ছিলেন ইলন মাস্ক। যা নিয়ে বিরক্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরপর থেকে ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াইট হাউজে ইলন মাস্ক মারামারিতে জড়িয়ে ছিলেন এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়। সে সময় মাস্ক ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি-র দায়িত্বে ছিলেন। ব্যয় সঙ্কোচন সংক্রান্ত আলোচনায় বসেছিলেন হোয়াইট হাউজের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের সাথে। সে সময় বেসেন্টে মাস্কের ভাবনা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই নাকি শুরু হয় দুজনের মধ্যে মারামারি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী আরও জানা যায়, ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি-র দায়িত্ব নিয়ে সরকারের খরচ ১ ট্রিলিয়ন ডলার কমানোর প্রতিশ্রুতি মাস্ক পূরণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন স্কট বেসেন্টে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক চলছিল। এ সময় বেসেন্টে মাস্ককে বলেন, ‘তুমি ফ্রড, পুরোপুরি ফ্রড’। এমন কথা শুনে ইলন মাস্ক ক্ষেপে যান।
‘ফ্রড’ বলার পরই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মাস্ক। নিজের কাঁধ দিয়ে সজোরে আঘাত করেন বেসেন্টের পাঁজরে। পাল্টা আঘাত করেন বেসেন্টেও। সেখানে উপস্থিত অন্যরা তাদের মারামারি থামান। এরপর মাস্ক বেরিয়ে যান হোয়াইট হাউজ থেকে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে আরও জানায়, এ ঘটনা ট্রাম্পের কানে পৌছালে নিজের বিরক্তি গোপন করেননি। এরপর ট্রাম্প মাস্কের বদলে বেসেন্টের উপদেশই গ্রহণ করেন। যার জেরে ক্ষোভ বাড়ে মাস্কের। এই ঘটনার পর থেকে মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম।