– কি করিস?
– কাঁদছি।
– কই জল কই?
– জল না বের হলে বুঝি তাকে কাঁদা বলেনা?
– হয় বৈকি! বরং আরো বেশি জ্বালা ধরে তাতে।
– তাহলে? হে চোখের জলের ব্যারোমিটারের জনক, এখন বুঝলেন তো, আমার সকল দুঃখের ভার?
– এরকম করে বলছিস কেন?
– দুজন মিলে কষ্টের কথা বলতে নিলে এই এক ভ্যাজাল। দুজনেই দুজনাকে ছাড়িয়ে যেতে চাই।
– তাহলে বলিস কেন ছাই ! সারাদিনে এইটুকুই যা ভালো সময় তোর আমার।
– হুহ! ভালো কোন এঙ্গেলে! কি হবে তোর সাথে একদিন দেখা না হলে?
– ব্যাপারখানা একদিনের নয় চাঁদু। প্রতিদিনই থেকে থেকে মনে করিস আমাকে তুই। সে কি আমি জানিনা ভাবিস!
– ইশ! তুই কে রে? আল্লাহ নাকি, যে এরকম করে মনে করব!
– মিরর বলতে পারিস তোর। যাকে সেজে-গুজে দেখতে হয়না। যাকে সারাক্ষণ বয়ে নিয়ে চলতে তুই বাধ্য। যাকে না চাইলেও দেখতে হয় সর্বক্ষণ। যে তোর আসল রূপটা ধরিয়ে দেয়। তুই কুৎসিত হলে সে সুন্দর হয়ে জানান দেয় তুই সুন্দরও, আবার সুন্দর হলে কুৎসিত হয়ে দেখিয়ে যে তুই কতটা কুৎসিত!!
– মানে বলতে চাস তুই আমি এক?
– হুম।
– কিন্তু বিপরীত?
– এত অবাক হচ্ছিস কেন! এটা কোনো রকেট সায়েন্স তো নয়! আমরা সবাই তো এমনই। নে হাত পাত এবার, বাদাম খা, খোসা ছাড়িয়ে দিয়েছি।
– হুম। রকেট সায়েন্স বলাতে মনে হলো, পদার্থবিজ্ঞানের টাইম নিয়ে থিয়োরির কথা। তুই কি আমার অন্য কেউ, মানে কপি? এই ত্রিমাত্রিক জগত ছাড়িয়ে অন্য জগতে আছিস?
– এইত্ত লাইনে আসছিস!
– মানে তুই আমার আত্মা? অথচ আমার দেহ নস?
– ঠিক আত্মাও না। আত্মা একটা কনসেপ্ট। দেহ তো নয়ই। ও মালটা নশ্বর। কোনো কাজের না।
– তাহলে দেহ কেন ভোগায়?
– সেটাই তো। এই দেহ তাহলে তোর কি করে হলো?
– মানে?
– মানে দেহ দূরের কথা, তুই-ই তোর না।
– তাহলে এই কষ্ট? ব্যাথা? বেদনা? ঠান্ডা? গরম? ভয়? প্রতিহিংসা? ভালোবাসা? জিঘাংসা?
– এর কোনটাই তোর নয়।
– বাদামের স্বাদ?
– নট ইয়োরস সুইট হার্ট।
– তোকে দেখব… তুই সুখী?