মধুর পুষ্টিগুণের কথা আমরা সবাই জানি। রোজ সকালে গরম পানিতে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে পান করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কিন্তু জানেন কী, শুধু লেবু নয়, মধুর জাদু আরও বেড়ে যায় ভিন্ন ভিন্ন কিছু উপাদানের সংযোগে। এবারের ফিচারে থাকছে মধুর তেমনই জাদুকরী কিছু গুণের কথা।

আদা ও মধু একসঙ্গে সেবন করলে অনেক রোগ নিরাময় হয়।
আদা-মধুর মিশ্রণে ‘রহস্য’ সমাধান
আদা মূলত গাছের একটি কাণ্ড। তবে মশলা হিসেবে আদার জুড়ি নেই। অনেকেই আদা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। তবে মধুর সাথেও আদা মন্দ না। আদাতে রয়েছে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা ঠাণ্ডা, ফ্লু ও গলাব্যথা প্রতিরোধ করে। আদা ও মধু একসাথে সেবনে বদহজম, অম্বল, পেটেব্যথা, ফোলাভাব এবং গ্যাসসহ হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। অতএব পেটের যন্ত্রণা যদি হয় রহস্য, তবে আদাই তার সমাধান।

মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর হয়
দারুচিনি-মধুতে মুক্তি
দারুচিনি এমনিতেই পুষ্টিগুণে ঠাসা। যদিও গাছের বাকল, তবুও বিকল নয় একদম। যারা গান করেন তারা নিয়মিত চিনি গলিয়ে তাতে দারুচিনি দিয়ে ফুটিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পান করেন। অল্প অল্প করে পান করলে কণ্ঠের যত্ন হয়। এটি মধু দিয়েও করা যায়। এছাড়া মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টরেলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেরসুন-মধুর মিশ্রন
রসুন-মধুতে স্বস্তি
রসুনকে বলা হয় ‘এন্টি এইজিং’ ম্যাজিক। অর্থ্যাৎ নিয়মিত সেবনে বয়সের লাগাম ধরে রাখা যায়। নিয়মিত মধু ও রসুনের মিশ্রণ খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলে, যেমন- নিউমোনিয়া। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করে এই মিশ্রণ। বিভিন্ন গবেষণা বলে, মেদ ঝরাতে রসুন জাদুর মতো কাজ করে। একেবারে ছুঁ মন্তর।

কালোজিরা ও মধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করে
কালোজিরা-মধুতে ডায়বেটিস হাতের মুঠোতে
কালোজিরা ও মধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। এই মিশ্রণ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কালোজিরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর ও মন চাঙা থাকে।