কথায় বলে, “দ্য ওয়ে টু আ ম্যান’স হার্ট ইজ় থ্রু হিজ় স্টমাক”। আর “ওয়ে টু আ উওম্যান’স হার্ট”? এই প্রশ্নের উত্তর যে কোনও পুরুষের কাছেই বিশ্বের জটিলতম ধাঁধা। মেয়েদের মন বোঝা কি অতই সহজ? শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েছে, তবুও পুরুষরা এই কঠিন প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাননি। তবে বিষয়টা যতটা কঠিন মনে করেন পুরুষরা, আসলে ততটা নয়। মেয়েদের মন বুঝতে হলে শুধু পৌরুষত্ব জাহির করলেই হবে না। বুদ্ধি, সংবেদনশীলতা এবং বিবেচনাবোধ, তিনটেকেই সমানভাবে কাজে লাগাতে হবে। সত্যি বলতে, মেয়েদের মন জয় করা তখনই সহজ হবে, যখন তাঁর মন বুঝতে পারবেন, পড়তে পারবেন। শুনতে কঠিন মনে হলেও, কাজটা অতটা কঠিন নয়। কিছু বিষয় মনে রাখুন—

১. অতিরিক্ত প্রশ্ন, বা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করবেন না, তাঁর অতীত নিয়ে অযথা কৌতূহল প্রকাশ করতে যাবেন না। ব্যক্তিগত জীবনও কে কতটা প্রকাশ্যে আনবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। খুঁচিয়ে কথা বের করার চেষ্টা করতে যাবেন না।
২. পুরুষরা অনেকেই ভাবেন মহিলারা পয়সা, দামী গিফ্ট ইত্যাদি পছন্দ করেন এবং এই ধরনের উপহার দিলেই তাঁদের মন জয় করা সম্ভব। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কথাটা প্রযোজ্য হলেও, সবাই এক না। অনেকেই দামী উপহার, শপিং মল, পাঁচতারা রেস্তরাঁর ধার ধারেন না। বরং টাটকা গোলাপ ফুল কিংবা একবাক্স চকোলেট তাঁদের অনেক বেশি প্রিয়। তাই সামনের মানুষটার পছন্দ-অপছন্দগুলো আগে বোঝার চেষ্টা করুন।
৩. জোর করে তার জীবনে প্রবেশ করার বা নিজেকে তার জীবনের অংশ করে তোলার চেষ্টা করবেন না। আপনাকে চেনার মতো সময় দিন। অযথা তাঁকে উত্যক্ত করলে দূরত্বই বাড়বে। অনেক মেয়েরা কমিটমেন্ট ফোবিক হন।
৪. যদি নিজেকে অপ্রস্তুতে ফেলতে না চান বা খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করতে না চান, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোনও তথ্য, যেমন, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি যেচে না চাওয়াই ভাল। এতে তিনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।
৫. নিজের ভাললাগা, পছন্দ, মূল্যবোধ যতটা সোজাসুজি সম্ভব তাকে জানান। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই দু’টো মানুষের ন্যূনতম মনের মিল হওয়া জরুরি।
৬. তাঁর মনে নিজের জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করুন। তাঁর ছোটখাট পছন্দ-অপছন্দগুলোর গুরুত্ব দেওয়া, তাঁকে আনন্দ দেওয়া, হাসানো ইত্যাদি পজ়িটিভ সাইন। তাই বলে অপ্রয়োজনীয় ফ্লার্টিং বা লেম জোকস ভুলেও নয়।