Home স্থাপত্য ও প্রকৌশল টাইম ম্যাগ্যাজিনের ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট প্লেসেস ২০২৫’ তালিকায় স্থান পেল বাংলাদেশ

টাইম ম্যাগ্যাজিনের ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট প্লেসেস ২০২৫’ তালিকায় স্থান পেল বাংলাদেশ

সুপ্রভা জুঁই
১১৩ views

বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বখ্যাত ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট প্লেসেস ২০২৫’ তালিকায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে সাভার আশুলিয়ার জেবুন নেসা মসজিদ। স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনার নকশায় গড়ে ওঠা এই মসজিদটি আন্তর্জাতিক স্থাপত্য সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছে।

টাইম ম্যাগাজিন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, “বাংলাদেশের স্থপতিরা দীর্ঘদিন ধরে আধুনিক মসজিদ নকশা করে আসছেন। কিন্তু ঢাকার প্রান্তরে গোলাপি রঙের এই স্থাপনাটি শিল্পাঞ্চলের নিষ্প্রাণ পরিবেশে যেন প্রাণের সঞ্চার করেছে। এলাকার একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরির মালিক তার প্রয়াত মা জেবুন নেসার স্মৃতিতে ৬,৫০০ গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য নির্মাণ করেছেন এই আধ্যাত্মিক আশ্রয়স্থল।”

2 ছবি আসিফ সালমান

বাংলাদেশের জেবুন নেসা মসজিদ, ছবি: আসিফ সালমান

মসজিদটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে জল ও স্থলের মেলবন্ধন, যা প্যাভিলিয়ন স্টাইলের নকশায় মাটি ও পানির সংযোগস্থলে অবস্থিত। আধ্যাত্মিক শান্তির প্রতীক হিসেবেও এটি কাজ করে। এছাড়াও নারীবান্ধব স্থাপত্য হিসেবে নামাজ ও জমায়েতের জন্য নারীদের আলাদা সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদটির নামকরণও করা হয়েছে একজন নারীর নামেই। স্থাপত্যের ভাষায় মনোলিথিক কন্সেপ্টের মধ্য দিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘একত্ববাদ’ এর ধারণা। মসজিদের একরঙা রূপসজ্জা ও সরলতার মাধ্যমে তা ফুটে উঠেছে।

প্রকল্পের স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনা (স্টুডিও মরফোজেনেসিসের পরিচালক) বলেন, এটি শুধু একটি মসজিদ নয়, মায়ের স্নেহের মতোই একটি নিরাপদ আশ্রয়। গার্মেন্ট শ্রমিকরা যেন এখানে শারীরিক ও আত্মিক প্রশান্তি পায়, সেটিই স্থপতির মূল উদ্দেশ্য ছিল।

3 ছবি আসিফ সালমান

বাংলাদেশের জেবুন নেসা মসজিদের ভেতরের একাংশ অংশ

টাইম ম্যাগাজিনের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের স্থাপত্য ও সৃজনশীল সম্প্রদায়ের জন্য একটি গৌরবময় অধ্যায়। জেবুন নেসা মসজিদ এখন শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের সক্ষমতার একটি অনন্য উদাহরণ। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্য ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ