সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় অবস্থিত পুরাতন শহর আল বালাদ। দেশটির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে যাচ্ছে এই শহর। আল বালাদ একটি প্রাণবন্ত শহর, যা সৌদির প্রধান বন্দর হিসেবে কাজ করে। এই শহর থেকে সৌদি আরবের পর্যটন আসা শুরু করেছিল।
ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে শহরটির যত্ন নেয় কর্তৃৃৃপক্ষ, ছবি: আরজে ট্রাভেল এজেন্সি
এক সময় ‘আরবের প্রবেশদ্বার’ নামে পরিচিত ছিল আল বালাদ। এই জেলায় নির্মিত অট্রালিকা ও অবকাঠামো ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইতিহাস বহন করে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে এটি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করছে জেদ্দা কর্তৃৃৃপক্ষ।
আল বালাদের বাসিন্দারা ভবনগুলো হজ যাত্রীদের ভাড়া দিতেন, ছবি: সিএনএন
অতীতে, হজ যাত্রীদের তীর্থযাত্রার সময়, আল বালাদের বাসিন্দারা তাদের ভবনগুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ভাড়া দিতেন। এখান থেকে সহজেই ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদের সা. স্মৃতি বিজড়িত তায়েফে চলে যেতেন হজ যাত্রীরা। এই কারণেই আগত ভ্রমণকারীদের জন্য এই অঞ্চলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
ম্যাপে সৌদির পুরনো শহর আল বালাদ, ছবি: সিএনএন
সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও আরব ইতিহাসবিদ ড. ইমাদ কাশ্মীরি বলেন, শহরটির চারপাশে একটি শক্তিশালী প্রাচীর নির্মিত হয়েছিল। এই প্রাচীরটি পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় ভ্রমণকারী মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হয়ে ওঠে।
১৯ শতকে নির্মিত আল বালাদের একটি ভবন, ছবি: আরব নিউজ
এই অঞ্চলটি অনেক বিখ্যাত ব্যবসায়িক, শিক্ষাবিদ ও বাণিজ্যিক ব্যক্তিত্বের আবাসস্থলও ছিল। এই শহরের অন্যতম বিখ্যাত নিদর্শন হচ্ছে নাসিফ হাউস, যা ১৯ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এক সময় বাদশাহ আব্দুল আজিজের বাসস্থান ছিল এটি। এখনও এই নাসিফ হাউস তার অতীত গৌরব ধরে রেখেছে।
এই নাসিফ হাউসেই থাকতেন বাদশাহ আজিজ, ছবি: জিও টিভি
তথ্য বলছে, ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই ভবনগুলো কাঠ ও পাথর দিয়ে বিভিন্ন নকশায় নির্মিত হয়েছিল। অনন্য স্থাপত্য শৈলী এই আবাসিক বাড়িগুলোকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে। এখান থেকেই নতুন মাত্রা যোগ হয় সৌদির পর্যটন খাতে।
অনন্য স্থাপত্য শৈলী এই আবাসিক বাড়িগুলোকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে, ছবি: সিএনএন
এখানকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। পর্যটকদের আগমনে নিকটস্থ বাজারটি শহরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
সূত্র: সিএনএন, টাইম আউট জেদ্দা ও জিও টিভি
