সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায়র দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাকারী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সদস্য ছিলেন। তিনি গির্জার ভেতরে ঢুকে প্রথমে গুলি চালান, পরে তার শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ভর্তি ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এর আগে গণমাধ্যমে বহুবার জানিয়েছেন যে, তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
সায়েদা জয়নাব এলাকায় ২০১৬ সালে শিয়া তীর্থযাত্রীদের লক্ষ্য করে চালানো ভয়াবহ বোমা হামলার পর এই প্রথম দামেস্কে কোনও গির্জায় আইএস হামলা চালায়। বাশার আল-আসাদকে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের হাতে পদচ্যুত করার পর এটিই প্রথম আত্মঘাতী হামলা।

দ্বেল’আ এলাকার মার ইলিয়াস গির্জার ভেতরে এই ঘটনা ঘটে, ছবি : দ্য গার্ডিয়ান
বিস্ফোরণের পর সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স বাহিনী ‘হোয়াইট হেলমেটস’ একটি লাইভস্ট্রিমে গির্জার ভেতরের ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য দেখায়। সেখানে রক্তমাখা মেঝে, ভাঙাচোরা বেঞ্চ ও ভস্মীভূত দেয়ালের চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়ে জানিয়েছে গ্রিস। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা দামেস্কের মার এলিয়াস গির্জায় এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলার কঠোর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে দায়ীদের বিচারের আওতায় এনে খ্রিস্টানসহ সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিরিয়ার প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
আইএস যদিও সিরিয়ায় গির্জা লক্ষ্য করে অতীতেও একাধিক হামলার চেষ্টা করেছে, তবে এই হামলাটি তাদের জন্য কৌশলগতভাবে একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সন্ত্রাসবিরোধী দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও সংগঠনটি নিরাপত্তার ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম হচ্ছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স ও ফ্রান্স২৪