Home বিনোদন সমালোচনার ধুলো ঝেড়ে জয়ীবেশে আমির খানের প্রত্যাবর্তন

সমালোচনার ধুলো ঝেড়ে জয়ীবেশে আমির খানের প্রত্যাবর্তন

বিনোদন ডেস্ক
১৩ views

প্রথম তিনদিনে ভালো ব্যবসা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আমির খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’। সিনেমাটি মুক্তির আগে দর্শক-সমালোচকদের আগ্রহ খুব একটা জাগাতে পারেনি। অগ্রিম টিকিট বিক্রিও ছিল হতাশাজনক। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন—বারবার রিমেক করে আমির খান কী প্রমাণ করতে চান? এ ছাড়া নানা নেতিবাচক প্রচারণা ও আলোচনা ঘিরে ছিল সিনেমাটিকে।

তবে গত শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সব চিত্র পাল্টে যায়। ‘সিতারে জমিন পর’ দেখে দর্শক ও সমালোচক-দু’পক্ষই ছবিটির প্রশংসা করেন। মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ছবির গল্প ও বার্তা।এভাবে আমির খানের তিন বছর পর বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় হয়ে উঠেছে।

মুক্তির প্রথম দিনেই ছবিটি আয় করে ১১ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে ২২ কোটি এবং রবিবার (ভারতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন) আয় দাঁড়ায় ২৮ কোটি রুপি! সব মিলিয়ে মুক্তির তিন দিনের মাথায় ছবির মোট আয় ছাড়ায় ৬০ কোটি রুপি। অনুমান করা হচ্ছে, মুক্তির পাঁচ দিনের মধ্যেই ছবিটি ১০০ কোটির ঘরে পৌঁছে যাবে।

‘সিতারে জমিন পার’ মূলত ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তারে জমিন পার’-এর সিকুয়েল। এটি একটি স্প্যানিশ সিনেমা ক্যাম্পিওনেস-এর হিন্দি রিমেক। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এস প্রসন্ন। আমির খান ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা এবং ১০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পী।

এই বিশেষ শিল্পীদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আমির খান বলেন, ‘৩৫ বছরের ক্যারিয়ারে আমি দেখেছি, সেটে নানা ধরণের মতবিরোধ ও ইগোর লড়াই থাকে। কিন্তু এই ছবির শুটিং ছিল একেবারে ব্যতিক্রম। ওই ১০ জন বিশেষ শিল্পী সেটে এলেই যেন এক ধরণের পবিত্রতা নেমে আসত। তাদের মধ্যে অহংকার নেই, গলা উঁচিয়ে কথা বলার প্রবণতা নেই। বরং তারা এমনভাবে সহযোগিতা করেছে, যা আমাদেরও শিখিয়েছে কীভাবে সহনশীল হওয়া যায়।’

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুন