লেখালেখি, রিসার্চ, ইমেইল কিংবা ইন্টারভিউ প্র্যাকটিসের মতো কাজগুলো চ্যাটজিপিটি মুহূর্তেই করে ফেলে। কিছু কাজ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় খরচ হয় কিন্তু চ্যাটজিপিটির কল্যাণে তা মুহূর্তেই করা যায়।
নিচে সেই ৯টি কাজ তুলে ধরা হলো, যেগুলো চ্যাটজিপিটি-এর মাধ্যমে সহজেই করা যায়:
১. ইমেইল লেখা আর ঝামেলা নয়
চাকরি, ব্যবসা কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিদিন ইমেইল লেখার প্রয়োজন পড়ে। চ্যাটজিপিটি কে শুধু উদ্দেশ্য ও টোন (যেমন: প্রফেশনাল, বন্ধুত্বপূর্ণ) জানিয়ে দিলেই সে সাজিয়ে দেবে গোছানো, পরিষ্কার ও প্রাসঙ্গিক একটি ইমেইল। প্রয়োজন মতো আবার সম্পাদন করাও যায়।
২. ভ্রমণের পরিকল্পনা এখন এআই-এর হাতে
দেশে বা বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান বা আইটিনারারি করতে গিয়ে হোটেল, সময়সূচি, দর্শনীয় স্থান নিয়ে খোঁজখবরের চাপ কমানো যায় চ্যাটজিপিটি-এর মাধ্যমে। এটি আপনার পছন্দ, সময় ও বাজেট অনুযায়ী বিস্তারিত ইটিনেরারি (দিনভিত্তিক প্ল্যান) সাজিয়ে দিতে পারে।
উদ্দেশ্য ও টোন জানিয়ে দিলেই সাজানো, গোছানো, পরিষ্কার ও প্রাসঙ্গিক ইমেইল দিতে পারে চ্যাটজিপিটি , ছবি : ফ্রিপিক
৩. জটিল বিষয় সহজভাবে ব্যাখ্যা
টিউটোরিং এর কাজও কিন্তু চ্যাটজিপিটি দিয়েই সম্ভব। ‘জেনারেটিভ এআই’ কী, বা ‘ব্লকচেইন’ কীভাবে কাজ করে এমন জটিল বিষয় বোঝার জন্য চ্যাটজিপিটি চমৎকারভাবে সহজ ভাষায় উদাহরণসহ ব্যাখ্যা দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতে পারে এক নতুন ধরনের টিউটর।
৪. সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য
দুইটি বা ততোধিক বিকল্পের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? চ্যাটজিপিটি আপনাকে ‘প্রস’ ও ‘কনস’ তালিকা করে দিতে পারে। কখনো বিশ্লেষণাত্মক যুক্তি দিয়েও আপনাকে ভাবনার দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
৫. জটিল প্রজেক্ট বা কাজ ভাগ করে দেয় সহজভাবে
বড় কোনো প্রজেক্টে কোথা থেকে শুরু করবেন, বা কিভাবে ধাপে ধাপে এগোবেন তা নিয়ে ভাবনার সময় বাঁচায় চ্যাটজিপিটি। লক্ষ্য ও ডেডলাইন বললে এটি আপনাকে ধাপে ধাপে কাজ ভাগ করে দিতে পারে।
৬. রিসার্চ নোট বা তথ্য একত্রিত করে
বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করা তথ্যকে একটি গোছানো সারসংক্ষেপে পরিণত করতে চ্যাটজিপিটি দারুণভাবে সহায়তা করে। এটি তালিকা, টাইমলাইন, এমনকি পয়েন্ট আকারেও বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে পারে।
দুইটি বা ততোধিক বিকল্পের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে চ্যাটজিপিটি ‘প্রস’ ও ‘কনস’ তালিকা করে দিতে পারে, ছবি : ফ্রিপিক
৭. লম্বা লেখার সংক্ষিপ্তসার তৈরি
দীর্ঘ মিটিং নোট, রিপোর্ট, আর্টিকেল বা লেকচারের সারাংশ বানাতে সময় লাগে। চ্যাটজিপিটি তেমন যেকোনো লেখা পড়ে খুব কম সময়ে মূল পয়েন্ট বা সামারি তৈরি করতে পারে।
৮. পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি
পড়ালেখার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, কুইজ বা ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করতে চ্যাটজিপিটি অত্যন্ত কার্যকর। আপনি কোন বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তা বললেই এটি উপযুক্তভাবে এমসিকিউ বা ‘প্রশ্ন ও উত্তর’ ফর্ম্যাটে কনটেন্ট সাজিয়ে দেবে।
৯. ইন্টারভিউয়ের অনুশীলন সঙ্গী
চাকরির ইন্টারভিউয়ের আগে প্র্যাকটিস করতে চান? চ্যাটজিপিটি আপনার নির্ধারিত পদের বিপরীতে প্রশ্ন তৈরি করতে পারে এবং আপনার উত্তরের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়নও দিতে পারে যেন এআই-কে নিয়েই মক ইন্টারভিউ দেওয়া যাচ্ছে।
চ্যাটজিপিটি এর দেওয়া প্রথম উত্তর বা লেখাটিই ফাইনাল নয়,নিজে যাচাই করে নেওয়া ভালো। পরিষ্কার, নির্দিষ্ট প্রম্পট দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সংবেদনশীল বা ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সূত্র : সিএনইটি ও টমস গাইড
