বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ ছিল ১৪ ঘণ্টা। গত শনিবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকির অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয় অ্যাপটি। পরে একইদিন আবার চালুর অনুমতিও পায় প্ল্যাটফর্মটি। তবে বন্ধ আর চালুর এমন কাণ্ডে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নেটিজেনরা।
টিকটক বন্ধ বা চালু হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিলেন ব্যবহারকারীরা। বর্তমানে সারাবিশ্বে এটি ব্যবহার করেন ২০০ কোটির বেশি মানুষ। আর খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই এর ব্যবহারকারী ১৭ কোটি। এ জন্য এটি বন্ধের সাথে সাথে নানা রকম কমেন্ট ও মিম দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন নেটিজেনরা।
ট্রেস জোনেস নামের একজন এক্সে নিজের প্রতিক্রিয়ায় লিখেন, টিকটকের কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার ব্যাপারটা আমার কাছে ছোট বেলায় সুটকেস প্যাক করার মতো মনে হয়েছে। ব্যাপারটা এমন ব্যাগ গুছিয়ে বসে থাকা, শেষে বাড়ি ফেরা। ডাক নামের একটি আইডি থেকে বন্ধ হওয়ার পর একটি মিম দেয়া হয়। তাতে লিখা ছিল-টিকটকের বদলে ইন্ট্রাগ্রামের রিল দেখুন।
এক্স ফলোয়ার টম জোহার এ নিয়ে তার কন্যার একটি প্রতিক্রিয়া সোস্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে শেয়ার করেন। তাতে তিনি লিখেন-আমার ১০ বছর বয়সী কন্যাকে টিকটক বন্ধের কথা বলার পর সে কান্না শুরু করে। তারপর ওয়াকান্ডার মতো একটা পোজ দেয়। তারপর বলে আমি সব সময় টিকটকান্ডা।
এমন হাজারো কমেন্ট আর মিমে ভরে উঠে সোস্যাল মিডিয়ার ফিডগুলো। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে বন্ধ-চালুর মতো সিদ্ধান্ত ব্যাপক প্রভাব পড়ে নেটিজেনদের ওপর। প্ল্যাটফর্মটি বন্ধের সময় দুইটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। প্রথমটি, যা হচ্ছে তা নিয়ে না ভেবে বরং পুরোপুরি এড়িয়ে চলা। দ্বিতীয়টি হলো- কি হচ্ছে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকা। নেটিজেনটিদের নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ায় এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
১৪ ঘণ্টা টিকটক বন্ধ থাকার মুর্হূতগুলো অনলাইনের জন্য এলোমেলো সময়। কারণ এ সময় মানুষ এটি নিয়ে মজা করেছে। একই সাথে মিমও দিয়েছে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের এ সময় পুরো বিশ্বের অনলাইন ছিল বিশৃঙ্খল। টিকটিক বন্ধ-চালু কাণ্ড ছিল অনেকের জন্য কঠিন মুর্হূত। আর তাদের এই মুর্হূতগুলো সহজ করে দিয়েছিল নানা ধরনের হাস্য-রসাত্মক মিম।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস