Home বিশ্ব ১২০০ বছর আগেও ট্যাটু আকঁতো মানুষ

১২০০ বছর আগেও ট্যাটু আকঁতো মানুষ

মোহাম্মদ রবিউল্লাহ
৬২ views

মাঠে বা সিনেমার পর্দায় বিশ্বের বহু তারকা, ফুটবল খেলোয়াড়, কুস্তিগির ও শিল্পীর শরীরেই ট্যাটু অঙ্কিত থাকে। মেসি-নেইমার-রক-কোহলিদের মতো মহা তারকাদের শরীরেও অসংখ্য ট্যাটু দেখা যায়। এর মধ্যদিয়েই এই সংস্কৃতি বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় তার প্রমাণ মেলে।

ট্যাটুকে আধুনিক ও শহুরে সংস্কৃতির অংশ মনে করা হলেও এটি আদৌ নয়। এই শিল্পটির সূত্রপাত আধুনিক শহুরে সংস্কৃতিতে গড়ে উঠেনি বরং হাজার বছর আগেও মানুষ শরীরে ট্যাটুর ব্যবহার করতেন। তার প্রমাণ পাওয়া গেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে।

 

Tattos

সময়ের সাথে সাথে ট্যাটুগুলো ঝাপসা হলেও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, ছবি: গেজেট৩৬০ ডটকম

ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটির মানুষরা হাজার বছর আগে নিজের শরীরে ট্যাটু আকঁতেন। অত্যাধুনিক লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেরুর একাধিক মমিতে  ট্যাটু আকাঁর প্রমাণ মিলেছে নতুন এক গবেষণায়। জীবাশ্ম গবেষকরা মমির ওপর নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য পেয়েছেন।

দ্য চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং এর কো-অথর ও জীবাশ্মবিদ মাইকেল পিটম্যান বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী লাইভ সায়েন্সকে জানান, পেরুতে শতাধিক মানুষের মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। যাদের শরীরে নানান ধরনের পশু-পাখি ও লতার মতো নকশা পাওয়া যায়।

পেরু ট্যাটু

৯০০-১৫৩৩ সাল পর্যন্ত পেরুতে চ্যানকেই সংস্কৃতির প্রচলন ছিল, ছবি: আর্থ ডটকম

এটি মূলত চ্যানকেই সংস্কৃতির অংশ। ৯০০-১৫৩৩ সাল পর্যন্ত পেরুতে চ্যানকেই সংস্কৃতির প্রচলন ছিল। এই ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৩ জনের শরীরে ট্যাটুর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। অত্যাধুনিক লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্যাটু ০.১ – ০.২ মিমি বা ০.০০৪-০.০০৮ ইঞ্চি পুরু সূক্ষ্ম রেখা দেখা গেছে।

গবেষণা অনুসারে, সময়ের সাথে সাথে মমিগুলোর ট্যাটুর নকশা ঝাপসা হয়ে গেলেও ট্যাটু স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। গবেষকরা যে তিনটি ট্যাটুর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন তা ত্রিভুজ সমন্বিত জ্যামিতিক আকৃতির। যা বর্তমান সময়ে লতা-সদৃশ ও প্রাণীর নকশা মৃৎশিল্প ও টেক্সটাইলেও পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও জিও নিউজ

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ