আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসরটি কখনোই সুস্পষ্ট ছিল না। আয়োজিত হয় অনিয়মিতভাবে, নির্দিষ্ট কোনো কাঠামো ছাড়াই। এবারের টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পাকিস্তানে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তারা পাকিস্তানে খেলতে যেতে চায় না। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে আছে। তবে আইসিসি ইতিমধ্যেই ট্রফির একটি প্রোমো প্রকাশ করেছে, যেখানে পাকিস্তানকে আয়োজক দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই সমস্যার মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশ্বভ্রমণ চলছে। দুবাই-ভিত্তিক বহুজাতিক লজিস্টিক কোম্পানি ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’-এর তত্ত্বাবধানে ১৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে ট্রফির বিশ্বভ্রমণ পর্ব শুরু হয়েছে। তারই পরিক্রমায় আজ (৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ সফর। বাংলাদেশে ট্রফিটি প্রথম জনসমক্ষে প্রদর্শিত হবে কক্সবাজারে। ১০ ডিসেম্বর লাবণী পয়েন্টে (সীমান্ত সম্মেলনকেন্দ্র ঊর্মির সামনে) এটি দেখা যাবে। সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ট্রফিটি এখানে রাখা হবে, পরে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে।
১২ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রদর্শিত হবে ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে। সেখানে ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর ১৩ ডিসেম্বর ট্রফিটি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যাবে, যেখানে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এটি দেখা যাবে। ট্রফিটি দেখার জন্য জাতীয় পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার, ক্রিকেট কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
বাংলাদেশ সফরের পর ১৫-২২ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে। এরপর ২২ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি থাকবে অস্ট্রেলিয়ায়। ৬-১১ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ড, ১২-১৪ জানুয়ারি ইংল্যান্ড ও ১৫-২৬ জানুয়ারি ট্রফিটি প্রদর্শন করা হবে ভারতে। ট্রফিটি ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানে পৌঁছাবে। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। সেখানে ১৬ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রফিটি সফর করে। এরপর আফগানিস্তান সফর করে ২৬ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। তারপরই চলে আসে বাংলাদেশে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে আটটি দল। স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।