দুর্নীতির মামলায় দণ্ড থেকে মুক্ত হওয়ার আড়াই মাস পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রথমে তিনি যুক্তরাজ্যে যাবেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে দ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টে ওভারের পরে মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি, সব কাজ শেষ করেই দ্রুত ম্যাডাম বিদেশে যেতে পারবেন।
এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাডাম গুলশানের বাসায় আগের মতোই মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে আছেন। বলতে পারেন তার অবস্থা স্থিতিশীল।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন, সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ ম্যাডামের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়স্বজন যারা যাবেন তা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের এক দিনের মাথায় গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে দণ্ড মওকুফ করে মুক্তি দেওয়া হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দায়ের হওয়া পাঁচটি মানহানির মামলায় খালাস পান খালেদা জিয়া।
সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর ২০১৫ সালে সারা দেশে অবরোধ ও হরতালের মধ্যে পেট্রল বোমা বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হুকুমের আসামি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দেন আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি প্রায় দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়। এরপর প্রতি ছয় মাস পর পর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতো।