ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (১৫ জুন) ইসরায়েলের এক হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ১০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানজুড়ে বড় ধরনের হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকাও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জবাব দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়া উচিত। তিনি জানান, বর্তমানে ফোনালাপ ও বৈঠক চলছে। তবে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, হামলার মধ্যে তারা কোনো যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যাবে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “এখানে মূল বিষয় কূটনৈতিক শান্তি নয়, বরং ইরানকে পারমাণবিক ক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখা।”
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইরানের হামলায় অন্তত ১০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির সরকারি সূত্র জানিয়েছে। সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়ালেও উভয় পক্ষই প্রতিশোধের বার্তা দিয়ে যাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল গত সপ্তাহে ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন ইরানি সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই ইরান এই পাল্টা হামলা চালায়। যদিও তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, তবে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমকে ইসরায়েল সামরিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।
সূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি