Home সাহিত্য আয়ুমি শিবাতার “কাগজের শহর”

আয়ুমি শিবাতার “কাগজের শহর”

সুপ্রভা জুঁই 
২০০ views

জাপানি শিল্পী আয়ুমি শিবাতা সম্প্রতি তার নতুন প্রদর্শনী “কাগজের শহরগুলো” নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন। কাগজের নিপুণ ব্যবহার করে তৈরি করা এই শিল্পকর্মগুলো বিশ্বের বিভিন্ন শহর ও শহুরে জীবনের প্রতিফলন তুলে ধরে। শিবাতার সৃজনশীল দক্ষতা কাগজের মতো একটি সাধারণ উপাদানকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেছে, যা দর্শকদের মুগ্ধ করছে।

শিবাতা মূলত জাপানি কাগজ শিল্পের ঐতিহ্যকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন। তার কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সূক্ষ্ম এবং নিখুঁতভাবে কাগজ কেটে তৈরি করা বিভিন্ন স্থাপনা। যেখানে প্রতিটি স্তর তৈরী করতে হয় অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে। শিবাতার এই শিল্পকর্মে কাগজের ভাঁজ ও কাটাকুটির মধ্য দিয়ে শহুরে জীবনের বাস্তবতাগুলো  তুলে ধরা হয়েছে। তার কাজ শুধু ভিজ্যুয়াল সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং আধুনিক নগর জীবনের নানা দিক নিয়ে চিন্তা করার আহ্বানও জানায়। শহরের বিশৃঙ্খলা, জটিলতা এবং সৌন্দর্যকে একত্রিত করে, তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রতিটি শহর নিজস্ব জীবন, সংস্কৃতি এবং গতিবিধি নিয়ে বেঁচে থাকে।

22
দিসইজকোলোসাল

শিবাতার কাজের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তার ভাস্কর্যগুলোতে নীরবতা, শান্তি এবং ধ্যানের অনুভূতি থাকে। বড় বড় ইনস্টলেশনগুলোতে কাগজের ভাঁজ এবং আলো-ছায়ার বিন্যাস এমনভাবে করা হয় যে, শিল্পকর্মগুলো যেন এক জীবন্ত বাস্তবতার ছাপ রেখে যায়। 

শিবাতার মায়াময় দৃশ্যপট এমন একটি বিশ্বের কল্পনা করে যেখানে মানুষ এবং প্রকৃতি সহাবস্থান করে। তিনি তার শিল্পকর্মগুলোকে “ইন এবং ইয়াং” উপাদানযুক্ত বলে বর্ণনা করেন। কাগজ প্রতীকীভাবে “ইন” অর্থাৎ, কাগজ এখানে বস্তুগত দিককে উপস্থাপন করে। আর ছায়া “ইয়াং” পারলৌকিক জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত। শিবতা বলেন, “আলো হলো আত্মা ও জীবনের প্রতীক, যেমন সূর্য উদিত হয় এবং পৃথিবীতে জীবন সঞ্চার করে।”

শিবাতার এই কাগজের শিল্পকর্মগুলোকে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন গ্যালারি এবং প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে। তার শিল্পকর্মগুলোতে আলো ও ছায়ার খেলা এমনভাবে ধরা দেয়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং তারা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা লাভ করেন। আয়ুমি শিবাতার শিল্পকর্ম কেবল একটি ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি শিল্পের মধ্যে থেকে আলো, ছায়া এবং প্রকৃতির সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ