স্থগিত হওয়া ‘সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়ার বিষয়ে এখনও নতুন কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি বাংলা একাডেমি। এর মধ্যেই জুরি বোর্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান। ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মোরশেদ শফিউল হাসান এবারের পুরস্কার নিয়ে সাম্প্রতিক নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে বিব্রতবোধ করছেন বলে জানান।
এবছর পুরস্কারের প্রথম ঘোষিত তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ ইতোমধ্যে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে বাংলা একাডেমি নতুন তালিকা তৈরিতে কিছুটা বিপাকে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
বুধবার গণমাধ্যমকে জানান,, “জুরি সদস্য হিসেবে আমার যে দায়িত্ব ছিল, তা পালন করেছি। যোগ্য সবাইকে হয়তো পুরস্কার দিতে পারিনি। কিন্তু যাদের পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে, তারা কেউ অযোগ্য নন।” অতীতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু এবার যা ঘটলো তাকে ‘অদৃষ্টপূর্ব’ বলে মন্তব্য করেন মোরশেদ শফিউল হাসান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ থাকার অভিযোগ শনিবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়। এবার দশজনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি। মঙ্গলবার সেই তিন কর্মদিবস শেষ হলেও পুরস্কার সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি এ পুরস্কারের প্রবর্তক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।
