চুল পড়া সবার জন্য বিব্রতকর ও উদ্বেগের বিষয়। হাজারো কেমিক্যালযুক্ত পণ্যের ব্যবহারে যখন ফল মিলে না, তখন ফিরে তাকাতে হচ্ছে প্রকৃতির দিকে। আর ঠিক সেখানেই উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর নাম—তিতা করলা। শুনে অবাক লাগলেও, এই তিতকুটে স্বাদের সবজি হতে পারে আপনার চুল পড়া রোধের প্রাকৃতিক সমাধান!
করলার উপকারিতা কীভাবে চুলে কাজ করে?
করলায় আছে—
- ভিটামিন সি : অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে চুলের গোড়াকে করে শক্তিশালী।
- আয়রন ও জিঙ্ক: স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল পড়া রোধ করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান: খুশকি ও স্ক্যাল্প ইনফেকশন দূর করে।
- বায়োটিন ও প্রোটিন: চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
ব্যবহারের উপায়
করলা পেস্ট হেয়ার মাস্ক
করলা ধুয়ে পেস্ট করুন। এতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে।

করলায় থাকা আয়রন ও জিঙ্ক স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল পড়া রোধ করে, ছবি: ভেরিওয়েল হেলথ
করলা-আলোভেরা প্যাক
করলার রস ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
করলার রস টনিক হিসেবে
করলা ব্লেন্ড করে ছেঁকে রস বের করুন। তুলা দিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান এবং হালকা ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়াও বন্ধ হবে স্ক্যাল্পে রস ব্যবহার করার ফলে।
বাড়তি কিছু টিপস:
- করলা রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং হরমোন ব্যালান্স করে যা চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- চুলে তেল দেওয়ার আগে হালকা গরম করলার রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
- চুলে করলা ব্যবহারের পর অবশ্যই ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন, নয়তো তিতকুটে গন্ধ লেগে থাকতে পারে।
- প্রথমবার ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করুন। ত্বকে অ্যালার্জি থাকলে ডাক্তার বা ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।