ওয়াইআর৪ নামের একটি বিশাল গ্রহাণুর চাঁদে আঘাত হানার আশঙ্কা বেড়েছে। এই আঘাত পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইটগুলোর জন্য বিশাল ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে নতুন গবেষণা বলছে এ গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত করার আশঙ্কা নেই।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রহাণুটির চাঁদে আঘাত হানার আশঙ্কা ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৩ শতাংশ হয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন, যদি এমনটি হয়, তবে গ্রহাণুর আঘাতের কারণে চাঁদ থেকে ছিটকে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলোর জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কয়েক দশকের ক্ষতি কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যেতে পারে।
গবেষণা দলের প্রধান অ্যাস্ট্রোনমি অধ্যাপক ড. পল উইগার্ট (ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও) নিউ সায়েন্টিস্টকে বলেন, গ্রহাণুটি চাঁদে আঘাত হানলে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৯ হাজার মাইল বেগে সংঘর্ষ ঘটবে। এতে চাঁদে প্রায় আধা মাইল চওড়া একটি গর্ত সৃষ্টি হতে পারে যা হবে গত ৫ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় লুনার ইমপ্যাক্ট।
এই গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয় ডিসেম্বর ২০২৪-এ। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, এটি ২৩ ডিসেম্বর ২০৩২-এ পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এবং একটি পুরো শহর ধ্বংস করার মতো শক্তি বহন করে। তবে নতুন বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে এটির আঘাত পৃথিবীকে এড়িয়ে যাবে।
তবুও ঝুঁকি একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি এটি চাঁদে আঘাত করে, তাহলে চাঁদের ভগ্নাবশেষের কিছু অংশ মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীতে এসে পড়বে। ড. উইগার্ট বলেন, ‘প্রথম দৃষ্টিতে মনে হতে পারে পৃথিবী একটি ছোট লক্ষ্যবস্তু, চাঁদের ভগ্নাবশেষ হয়তো পৃথিবীতে আঘাত হানবে না, কিন্তু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এই ধ্বংসাবশেষকে পৃথিবীর দিকে টানতে পারে।’
এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে আগামী সাত বছরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশগত ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র : মেন’স জার্নাল ও নিউ সায়েন্টিস্ট