Home বিনোদন প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকেন হলিউডের অভিনেতা ওয়াকেন

প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকেন হলিউডের অভিনেতা ওয়াকেন

চঞ্চল ঘোষ
৪৯ views

মোবাইল, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ছাড়া জীবন এ যুগে চিন্তাও করা যায় না। আর কেউ যদি সেলিব্রেটি হয় তাহলে তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে জানান দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আবার এমনও কেউ আছেন যে কিনা এসব প্রযুক্তি থেকে শত হাত দূরে। তেমনিই একজন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ক্রিস্টোফার ওয়াকেন। অভিনয় করেছেন অসংখ্য দর্শকনন্দিত সিনেমায়। পেয়েছেন অস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার।

তার সাফল্যের শোকেসে এসব ঝলমল করলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সম্পর্কে অবাক করা তথ্য জানিয়েছেন ডুন পার্ট টু-এর অভিনেতা। সাক্ষাৎকারে জানান, ব্যবহার করেন না স্মার্ট ফোন। এ ছাড়া নেই ই-মেইল একাউন্ট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে কখনো পোস্টও দেননি তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গত সোমবার ৮১ বছর বয়সী এই অভিনেতার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রযুক্তি সম্পর্কে নিজের কথা জানান তিনি। বলেন, ’প্রযুক্তির সঙ্গে তার সংযোগ একেবারে নগণ্য। আমি প্রযুক্তি খুব একটা ব্যবহার করি না। বাড়িতে আছে শুধু ক্যাবল টিভি (স্যাটেলাইট লাইন)। এমনকি আমার অভিনীত টিভি সিরিজ সেভারেন্সও দেখেছি ডিভিডিতে।’

walken with wife

স্ত্রী জিওগিয়ান্নার সঙ্গে ক্রিস্টোফার ওয়াকেন, ছবি: বিএফ এএনওয়াইসি

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমার কোনো সেলফোন (স্মার্টফোন) নেই। আমি কখনো কাউকে ই-মেইল করিনি। এ ছাড়া জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টুইটারেও টুইট করিনি। ইলন মাস্কের মালিকাধীন টুইটার বর্তমানে এক্স নামেই সবার্ধিক পরিচিত। সারাবিশ্বের মানুষ যেখানে প্রযুক্তির বিভিন্ন উপকরণের ওপর নির্ভরশীল সেখানে তাকে দেখে মনে হয়নি সবকিছু থেকে তিনি একেবারে বিচ্ছিন্ন। এমনকি ঘড়িও ব্যবহার করেন না জনপ্রিয় এই মঞ্চ অভিনেতা। অবশ্য সময় জানার প্রয়োজন হলে কাউকে জিজ্ঞাসা করে নেন। আর ফোন করতে হলে কাউকে বলেন, আপনার ফোনটা আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ধার দেবেন।

অবশ্য এর আগেও ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার না করার বিষয়ে ‘দ্য লেট শো উইথ স্টিফেন কোলবার্ট’ অনুষ্ঠানে জানিয়ে ছিলেন ওয়াকেন। কিং অব নিউ ইয়র্ক (১৯৯০), দ্য ডির হান্টার (১৯৭৮), ট্র রোমান্স (১৯৯৩), ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান (২০০২) এবং রোমান্স এন্ড সিগারেটসের (২০০৫) মতো অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

walken3

ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন নন্দিত এই অভিনেতা, ছবি: গার্ডিয়ান

শুধু ওয়াকেন-ই নন, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এডওয়ার্ড ক্রিস্টোফার শিরান গত বছর ‘থেরাপাস উইথ জ্যাক শান’ পোস্টকাস্টে জানান, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তার কোন ফোন ছিল না। আমি তখন আইপ্যাড ব্যবহার করতাম। আর ই-মেইল যোগাযোগ রাখতাম। তবে ইনবক্সে আসা ই-মেইলের উত্তর দিতাম সপ্তাহে একদিন।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে স্মার্টফোন ও প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষতিকর দিক নিয়ে। বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে। এমনকি প্রযুক্তি জায়ান্ট বিল গেটস এবং স্টিভ জবসও প্রযুক্তি ডিভাইস বলতে গেলে স্মার্টফোন শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের পরামর্শ দিয়েছেন।

২০১৯ সালে এক গবেষণায় মাত্রারিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের শিক্ষা, আচরণ ও অনুভূতির ওপর যে বিরূপ প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে তথ্য উঠে আসে। ওই গবেষণায় জানানো হয়, স্ক্রিনে (স্মার্টফোন/ডিভাইস) বেশি সময় কাটালে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ।

সূত্র: বিজিনেস ইনসাইডার

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ