নিত্যপণ্যের দামের লাগাম টানার অংশ হিসেবে এবার চাল আমদানিতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের ওপর সমুদয় আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে আমদানী পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে। সমুদয় আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুদ্ধ প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা পর্যায়ে চালের সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে।
প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে জানিয়ে আরও বলা হয়, এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির আগে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বন্যায় চাল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে চাল আমদানিতে বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
আর গত ২০ অক্টোবর চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।