ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে টানা ১০ দিন বন্ধের পর আজ রোববার ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। ঈদের আগে ৫ জুন সর্বশেষ কার্যদিবসে লেনদেন হয়। এরপর পবিত্র ঈদুল আজহা ও বিশেষ ছুটি মিলে ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
ব্যাংক বন্ধ থাকলেও কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সুযোগ ছিল। পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) গিয়ে লেনদেন হয়েছে। তবে এসব সেবা নিরবচ্ছিন্ন ছিল না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। এ সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু ছিল। পাশাপাশি বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালু ছিল।
টানা ছুটির কারণে এবার ব্যাংকারদের বড় অংশ বাড়তি ছুটি নেয়নি। ফলে আজ পুরোদমে ব্যাংক–বিমা ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। আগের মত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলবে।
আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে এক টানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ, এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি।
এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারির ছুটির পর শেয়ারবাজারে টানা ১০ দিন লেনদেন বন্ধ ছিল। এতে শেয়ারবাজারে কোনো কার্যক্রম চলেনি। তবে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব বেশি আক্ষেপ ছিল না। কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে দরপতন হচ্ছে। তাতে প্রায় প্রতিদিনই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন বন্ধ থাকায় সেই ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া ১০ দিন সরকারি ছুটি থাকায় বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে খুব বেশি ক্ষোভ দেখা যায়নি।