Home বাণিজ্য ছাপা জটিলতায় নতুন নোট সংকট, মিলছে না ব্যাংকের শাখায়

ছাপা জটিলতায় নতুন নোট সংকট, মিলছে না ব্যাংকের শাখায়

ইকবাল হোসেন
১০৮ views

ছাপা সংক্রান্ত জটিলতায় বাজারে নতুন নোট সংকট তৈরি হয়েছে। ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন টাকা বিতরণ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্রাহকরা নতুন নোট পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকেও অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে বিতরণ করা হচ্ছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোঃ সাহেদুল হাসান হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, নতুন নোট ছাপার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় দিতে হয়। ঈদ সামনে রেখে বাজারে নতুন নোট ছাড়ার জন্য একটু তাড়াহুড়া করতে হয়েছে। এ কারণে নোট ছাপায় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে বাজারে পর্যাপ্ত নতুন নোট সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকার ব্যাংক নোট সোমবার (২ জুন) থেকে বাজারে পাওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মোট ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই নতুন টাকা বিতরণ করা হবে। এসব ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। যেসব ব্যাংকে নতুন টাকা বিনিময় করা যাবে সেগুলো হলো— সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কাশেম মঙ্গলবার (৩ জুন) হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, আমাদের মতিঝিলসহ কোন শাখায় আজ দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন নোট সরবরাহ করা হয়নি। অনেক গ্রাহক নতুন টাকার জন্য এসে ফিরে যাচ্ছে।  

রেওয়াজ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ঈদ উৎসবের আগে বাজারে নতুন নোট ছাড়ে, যাতে মানুষ স্বচ্ছ, আকর্ষণীয় ও ঝকঝকে টাকা দিয়ে উপহার লেনদেন করতে পারে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি গ্রাহক হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তাই কয়েকটি ব্যাংকে সীমিত পরিমাণে নতুন নোট সরবরাহ করা হয়েছে। এসব নোট সোমবার বা তার পরদিন থেকেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে শুরু করবে।  

প্রথম ধাপে ২০, ৫০ এবং ১০০০ টাকার নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে আরও নতুন নোট ছাপানো হবে এবং সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।  

এবার ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০ টাকার নোটে স্বাক্ষর থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের। অন্যদিকে ২ ও ৫ টাকার নোটে স্বাক্ষর থাকবে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদারের।

এদিকে টাঁকশালের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নকশার নোট ছাপাতে সাধারণত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু হয়। তবে একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।

 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ