Home সারাদেশ ১৪ মণের ‘কালা বাবু’ দেখতে মানুষের ভিড়

১৪ মণের ‘কালা বাবু’ দেখতে মানুষের ভিড়

৩৫ views

প্রতিবছর কোরবানির মৌসুম আসলে দেখা মিলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। মূলত নিজেদের পছন্দের পশুটিকে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনায় রাখতে এসব নামকরণ করে থাকেন খামারিরা।

এ বছর টাঙ্গাইল জেলার জেলার কোরবানির হাটে দামে ও খ্যাতিতে এগিয়ে আছে দেশীয় ষাঁড় ‘কালা বাবু’। নাগরপুর উপজেলার কোনরা গ্রামের কীটনাশক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ পরাণ মিয়া ‘কালা বাবু’ কে আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

তিন বছরে বেড়ে ওঠা চার দাঁতের দেশীয় ষাঁড় কালাবাবু। যার উচ্চতা সাড়ে ৪ ফিট এবং ওজন প্রায় ১৪ মণ। কালা বাবু প্রতিদিন ১০ কেজি তরল ও দানাদার খাবার খায়। বর্তমানে ষাঁড়টির দাম ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা।

দেখা যায়, কালো রঙের গরুটি দেখতে খুবই শান্ত প্রকৃতির মনে হলেও বাস্তবে খুবই রাগী। কালো শরীর আর বিশাল দেহ হওয়ায় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। কালা বাবুকে এক নজর দেখতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

পরাণ মিয়ার দেশীয় ষাঁড় ‘কালা বাবু’ জেলার নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গরু  ‘কালা বাবু’ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কালা বাবুর মালিক পরাণ মিয়া বলেন, ‘গ্রামের হাট থেকে দেশীয় জাতের গাভী কিনেছিলাম। সে গাভী থেকে কালো রঙের একটি ষাঁড় বাছুর জন্ম নেয়। সেই ষাঁড় বাছুরকে আমি নিজের সন্তানের মত ৩ বছর ধরে লালন পালন করে বড় গরুতে পরিণত করেছি। গরুটি দেখতে খুব শান্ত স্বভাবের হলেও খুব রাগী ও চঞ্চল। তাই শখ করে তার নাম রেখেছি ‘কালা বাবু’।

তিনি জানান, ষাঁড়টিকে বড় করতে কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, ভুসি, চালের কুড়া, ভুট্টা, অ্যাংকর, খৈল, প্রাকৃতিক খাদ্য ও বিচি কলা। তার পেছনে প্রতিদিন খরচ হয় ৫শ টাকা। গরমে আরামের জন্য প্রতিদিন ২ বার গোসল করাতে হয় এবং ফ্যান ও মশা তাড়াতে দৈনিক ৪টি করে কয়েল জ্বালাতে হয়।

পরান মিয়া আরও জানান, এবারের কোরবানির ঈদে বাড়ি থেকেই কালা বাবুকে বিক্রি করবেন। যদি না বিক্রি করতে পারেন তাহলে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই গরুর হাটে উঠানো হবে। ক্রেতারা দেখে শুনে দাম করে নিতে পারবেন।

জেলার প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্য বলছে, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলায় এ বছর ২ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ টি কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে কোরবানিযোগ্য ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। কালা বাবুর মত অসংখ্য নামে বড় বড় গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন খামারিরা। আশা করছি, জেলার ছোট-বড় সব খামারিরা গবাদিপশু ভালো দামে বিক্রির মাধ্যমে লাভবান হবেন।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ