Home বাণিজ্য জুনের আগে মিলছে না আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি

জুনের আগে মিলছে না আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি

হ্যালো বাংলাদেশ প্রতিবেদক
৫৯ views

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া আরও পিছিয়ে গেছে। আগামী জুনের আগে পাওয়া যাবে না ঋণের এ কিস্তি। অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিন কিস্তিতে প্রায় ২৩১ কোটি (২.৩১ বিলিয়ন) ডলার ইতোমধ্যেই ছাড় করেছে সংস্থাটি। বাকি ২৩৯ কোটি (২.৩৯ বিলিয়ন) ডলার পাওয়ার কথা চার কিস্তিতে। চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দর–কষাকষি করতে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর দুই সপ্তাহের সফরে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে এসেছিল।

১৩ সদস্যের ওই দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। প্রতিনিধিদলটির সফর শেষে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থছাড়ের কথা জানান ক্রিস পাপাজর্জিও।

সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস পাপাজর্জিও বলেছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তবে রাজস্ব আয় বাড়ানো–সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনসহ কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ সভায় চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। বোর্ড অনুমোদন দিলে ঋণ ছাড় করা হবে।

একই সঙ্গে চলমান কর্মসূচির আওতায় ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি (৫.৩০ বিলিয়ন) ডলার করতেও তারা সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের প্রস্তাব ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপনের কথা থাকলেও তা ওঠেনি; পিছিয়ে তা ১২ মার্চ করা হয়। এখন তা আরও পিছিয়ে জুনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বোর্ড অনুমোদন করলে তার কয়েক দিন পর দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় হতে পারে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ একসঙ্গে পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বলেছি যে, আমাদের কিছু কাজ আছে। আমরা অত তাড়া করছি না। আমি একটা জিনিস বলি, আপনারা তো ভাবছেন ভিক্ষা করে নিয়ে আসি, আসলে অনেক শর্ত মেনে এবং আমাদের নিজস্ব তাগিদে। কিছু শর্ত আছে বললেই আমরা পালন করবো, তা নয়। এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ভালো। আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না।”

আগামী মার্চে কি আইএমএফ পর্ষদে প্রস্তাব উঠছে এমন প্রশ্নে সালেহ উদ্দিন বলেন, “মার্চে না আমরা বলছি একটু অপেক্ষা করবো, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির প্রস্তাব এক সঙ্গে উঠবে।”

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে কিছু শর্ত পরিপালন করতে হচ্ছে। চতুর্থ কিস্তির জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া বিভিন্ন শর্তের মধ্যে কর সংগ্রহ ছাড়া সব শর্ত পূরণ হয়েছে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ