প্রতি বছরের মতো এবারও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণা জাগানো ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের রিক্তা আক্তার বানু।
এই তালিকায় আরও আছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নাদিয়া মুরাদ, ধর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া ক্যাম্পেইনার জিসেল পেলিকট, অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, অলিম্পিয়ান রেবেকা আন্দ্রাদে ও অ্যালিসন ফেলিক্স, গায়িকা রে, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ট্রেসি এমেন, জলবায়ু ক্যাম্পেইনার আদেনিকে ওলাদোসু এবং লেখিকা ক্রিস্টিনা রিভেরা গার্যা।
তালিকাটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের এমন নারীদের সম্মানিত করেছে, যারা তাদের কঠিন পরিস্থিতি ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। এ বছর ফিলিস্তিনের গাজা, লেবানন, ইউক্রেন ও সুদানের প্রাণঘাতী সংঘাত এবং মানবিক সংকট থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড সংখ্যক নির্বাচন পরবর্তী সামাজিক বিভাজনের সাক্ষী হয়ে নিত্যনতুন উপায়ে নারীদের দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হয়েছে।
এবার জলবায়ু কর্মী, সংস্কৃতি ও শিক্ষা, বিনোদন ও ক্রীড়া, রাজনীতি ও অ্যাডভোকেসি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি- এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের রিক্তা আক্তার বানু। পেশায় নার্স রিক্তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রশংসিত হয়েছেন।
রিক্তা আক্তার বানুকে নিয়ে বিবিসি লিখেছে, “বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করেন নার্স রিক্তা আক্তার বানু। যেখানে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়। নিজের অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত কন্যাকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারেননি বলে তিনি নিজের জমি বিক্রি করে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’ এখন ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করে এবং এটি প্রতিবন্ধিতার প্রতি সমাজের মনোভাব পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য নির্মিত হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের জন্যও সেবা প্রদান করে।”
তথ্যসূত্র: বিবিসি
