ইউক্রেনজুড়ে রাতভর রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন ইউক্রেনীয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২৫ মে) ভোরে কিয়েভসহ ইউক্রেনের আরও কয়েকটি শহরে হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
কিয়েভের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা ও জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানীর বাইরে দুটি ছোট শহরে তিনজন নিহত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় খমেলনিতস্কি অঞ্চলে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে এক বৃদ্ধের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কিয়েভের পশ্চিমে ঝাইটোমির অঞ্চলে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এই হামলাগুলো এমন এক সময়ে ঘটল, যখন এর আগের দিন কিয়েভ শহর রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকে অন্যতম ভয়াবহ হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ৪৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে এবং ২৬৬টি মনুষ্যবিহীন বিমান ধ্বংস করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন শুরু করেন এবং বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলের ওদ্রাদনে এবং আরও দুটি এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থাপনায় যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র, আক্রমণাত্মক ড্রোন তৈরি হয়, সেইসব স্থানে নির্ভুল-নির্দেশিত অস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে একটি সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া, একটি ইলেকট্রনিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং একটি মার্কিন-নির্মিত প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থানেও হামলা চালানো হয়।
রুশ বিমান হামলার মধ্যেই স্থানীয় সময় শনিবার ৩০৭ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, কিয়েভের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে ফিরেছে ৩০৭ জন রুশ সেনা। একই সংখ্যক ইউক্রেনীয় বন্দিও ছাড়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ৩৯০ জন করে সেনা ও বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়।
সূত্র: বিবিসি