ষাঁড় গরুটির পুরো শরীরই সাদা। এর জন্য মালিক এর নাম রেখেছেন ‘সাদা পাহাড়’। নামের সঙ্গে মিল রয়েছে গরুটির। হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড়টি দেখতে পাহাড়ের মতোই। আসন্ন কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা সুঠামদেহী এ গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার দাসের খামারে লালন-পালন করা হয় সাদা পাহাড়কে। বিশাল গরুটি দেখতে প্রতিদিন খামারে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সাদা পাহাড়কে নিজেদের জমিতে লাগানো নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে গরুর সঙ্গে সেলফি তোলেন। গরুটি দেখার জন্য ভিড় জমে যায়। এ রকম বড় গরু জেলার আর একটিও নেই।
প্রায় চার বছর ধরে লালন-পালন করা হচ্ছে সাদা পাহাড়কে। ষাঁড়টিকে শুকনো খড়, ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি করা ভুসি খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া খাওয়ানো হয় কাঁচা ঘাসও। প্রতিদিন তিনবার গোসল করানো হয়। সাদা পাহাড়ের জন্য ২৪ ঘণ্টায় ফ্যান ও লাইট চালানো থাকে।
গ্রামের বসবাস করা কৃষক প্রশান্ত। শহরের হাট-বাজার খুব বেশি একটা চেনেন না। আর চিনলেও এত বড় গরু হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা তার পক্ষে সম্ভব না। ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই গরুটি বিক্রি করে দেবেন প্রশান্ত কুমার দাস।
সাদাপাহাড় গরুটি অনেক শান্তশিষ্ট। চার বছর আগে দেড় লাখ টাকা দিয়ে সাদা পাহাড়কে কিনে আনা হয়েছিল লালন-পালনের জন্য। এখন সেটাকে লালনপালন করে বড় করেছেন প্রশান্ত কুমারের পরিবার। তাদের খামারে সাদা পাহাড় ছাড়াও ৩০টি গরু রয়েছে। গরুগুলো দেখাশোনা করতে রাখা হয়েছে রাখালও।
