ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে লাতাকিয়া এবং তারতাসের পোর্ট ও ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম। ইসরায়েলি সেনারা সিরিয়ার গোলান হাইটসে আরও গভীরে প্রবেশ করেছে, যা তাদের দখল সম্প্রসারণের পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মানবিক সংকট বাড়ছে
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্ক-সমর্থিত বাহিনী এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে ১০০,০০০ এরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এসব displaced মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের মাজার ধ্বংস
বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের প্রতি আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে। সিরিয়ার উত্তর লাতাকিয়ার ক্বারদাহ শহরে বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের মাজারটি ধ্বংস করেছে। এ ঘটনা নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আসাদ শাসনের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিতে চায়।
বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারা’র প্রতিশ্রুতি
আহমেদ আল-শারা, যিনি আসাদ শাসনের পতন ঘটিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন যে তিনি সিরিয়ার সাবেক সরকারের ‘কুখ্যাত’ কারাগারগুলো বন্ধ করবেন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় সম্ভাব্য রাসায়নিক অস্ত্রের গুদামগুলো সুরক্ষিত করবেন। তার লক্ষ্য হলো দেশের নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্থিতিশীলতা আনা।
আন্তর্জাতিক সহায়তায় শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বাশির বলেছেন যে তার প্রথম লক্ষ্য হলো “বিদেশে থাকা কোটি কোটি সিরীয় শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা।” তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে দেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা