সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়া ৩০টির বেশি তিমি উদ্ধার করে সমুদ্র সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা। পরে তিমিগুলোকে গভীর সাগরে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দেশটির উত্তরের শহর ওয়ানগারেইর কাছে রুয়াকাকা সমুদ্র সৈকত তিমিগুলো আটকে ছিল। সংরক্ষণ কর্মীদের উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন স্থানীয়রা। ভাসমান অবস্থান থাকায় বেশির ভাগই পাইলট তিমি ছিল।
তিমিগুলোকে বিশেষ ধরনের শীটে করে সৈকত থেকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়। এর মধ্যে চারটি পাইলট তিমি মারা গেছে। এদের মধ্যে তিনটি প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শাবক বলে জানায় নিউজিল্যান্ডের প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ।
সমুদ্র সৈকতে তিমি আটকে থাকার হটস্পট হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। বিশেষ করে পাইলট তিমিগুলো প্রায় সময়ই নিউজিল্যান্ডের কোনো না কোনো সৈকতে আটকে যায়। নিউজিল্যান্ডে তিমিকে খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। আদিবাসীরা তিমিকে তাওঙ্গা মনে করে। এর অর্থ পবিত্র ধন।
১৮৪০ সাল থেকে ৫,০০০ বেশি তিমি আটকে থাকার রেকর্ড রয়েছে সমুদ্র প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে। ১৯১৮ সালে চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে আনুমানিক ১০০০ তিমি আটকে ছিল, যা পাইলট তিমি আটকে থাকার সবচেয়ে বড় সংখ্যা।
কেন সমুদ্র সৈকতে তিমি আটকে যায় তা অনেক সময়ই স্পষ্ট হয় না। তবে দ্বীপ রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এমনটা হয় বলে ধারণা করা হয়।
সমুদ্র সংরক্ষণ বিভাগের মুখপাত্র জোয়েল লাউটারবাখ এক বিবৃতিতে জানান , “এই মহৎ প্রাণীদের প্রতি মানুষ যে সহানুভূতি দেখিয়েছে তা দেখতে পারা আশ্চর্যজনক। এর মধ্য দিয়ে সামুদ্রিক পরিবেশের সাথে গভীর সংযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরব নিউজ থেকে অনূদিত