Home টপ পোস্ট নতুন টাকার নকশায় যা যা থাকবে

নতুন টাকার নকশায় যা যা থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১২ views
ঈদের আগে বাজারে আসছে নতুন নোট

টাকার নকশায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। আপাতত ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন নোট ছাপানোর জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে টাঁকশাল। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন নোট বাজারে আসবে বলে জানা গেছে।

নতুন টাকার নোটে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি নোটের নকশায় পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোটের নকশা পরিবর্তন করা হবে। অবশ্য নকশা পরিবর্তন না হওয়ায় সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বেশির ভাগ নোট ছাপানো বন্ধ রেখেছে টাঁকশাল।

জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। তবে নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। এ কমিটিতে চিত্রশিল্পীরাও রয়েছেন। তারা টাকার নকশা চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠালে তা অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা জানান, নতুন নকশায় টাকা ছাপার বিষয়ে সরকারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আশা করছি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসতে পারে নতুন নকশার টাকা।

বর্তমানে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট বাজারে রয়েছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুই পাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রা গুলোতেও তার ছবি আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপতে। তার আগের অর্থবছরে খরচ ছিল ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সবশেষ নতুন নকশায় ২০০ টাকার নোট চালু হয় ২০২০ সালে।

দেশে মুদ্রা ছাপানোর কাজ করে দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাঁকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮৮ সালের জুনে এক টাকা ছাপানোর মধ্য দিয়ে এই প্রেসে নোট ছাপানো শুরু হয়। নোট ছাপানোর আগে তার নকশা অনুমোদন করে সরকার। চিত্রশিল্পীদের দিয়ে নোটের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। নকশা চূড়ান্ত হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কাগজ, কালি ও প্লেট তৈরি করা হয়। নকশা অনুযায়ী বিদেশ থেকে প্লেট তৈরি করে আনার পর ছাপার কাজটি করে টাঁকশাল। তবে ধাতব মুদ্রাগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ