Home সর্বশেষ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়ল ‘স্টারশিপ’

গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়ল ‘স্টারশিপ’

তাসনিম তাবাসসুম
৪৮ views

আবারও উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলো ইলন মাস্কের মহাকাশভিত্তিক কোম্পানি স্পেসএক্স। উৎক্ষেপণের প্রাথমিক ধাপগুলো সফল হলেও ফ্লাইটটির শেষাংশে কারিগরি ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে ভারত মহাসাগরে।

বুধবার (২৮ মে)  উৎক্ষেপণের প্রায় ৩০ মিনিট পর জ্বালানি লিকের কারণে রকেটটির উপরের অংশ নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং পুনঃপ্রবেশের সময় বিস্ফোরিত হয়। এছাড়াও সুপার হেভি বুস্টারটি পরিকল্পিত ল্যান্ডিং সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। 

স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, রকেটটিতে জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে এটি মহাকাশে ঘূর্ণায়মান হয়ে পড়ে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। পরে এটি ‘র‍্যাপিড আনস্কেডিউলড ডিসঅ্যাসেম্বলি’ বা দ্রুত ও অনির্ধারিতভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়—মানে, বিস্ফোরিত হয়।

প্রায় ৪০০ ফুট দীর্ঘ স্টারশিপটি টেক্সাসের স্টারবেস উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়। এটি ছিল প্রথমবারের মতো পুনঃব্যবহৃত সুপার হেভি বুস্টার ব্যবহার করে সম্পন্ন ফ্লাইট। এতে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ নিক্ষেপের অনুশীলন ছিল, কিন্তু পে-লোড ডোর আটকে যাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

স্টারশিপ প্রকল্পটি নাসার আর্টেমিস দ্য থার্ড চন্দ্রাভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ২০২৭ সালের মধ্যে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।

স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এই ফ্লাইটকে ‘আংশিক সফল’ হিসেবে অভিহিত করে জানান, মিশনটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে যা ভবিষ্যতের উন্নয়নে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহে একবার নতুন ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

স্পেসএক্স-এর রকেটগুলো এর আগে একাধিকবার দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে গত ৬ মার্চ আরেকটি স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়েছিল। সম্প্রতি, মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রকেট উৎক্ষেপণের কারণে ফ্লোরিডার চারটি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, যার মধ্যে মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে।

এফএএ এবার স্টারশিপ উৎক্ষেপণের জন্য আকাশসীমা প্রায় দ্বিগুণ করে ২ হাজার ৯৬৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। এ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য, বাহামা, তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং কিউবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে স্পেসএক্স। 

 

সূত্র: আল জাজিরা ও এবিসি নিউজ 

 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ