Home সফল মুখ রোগীর সেবায় আনন্দ পান ক্যান্সারজয়ী ক্যাথেরিন

রোগীর সেবায় আনন্দ পান ক্যান্সারজয়ী ক্যাথেরিন

চঞ্চল ঘোষ
৭৮ views

বেঁচে থাকার লড়াই। প্রতিমুহূর্ত সংগ্রাম। তারপরও গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত মনোবল অটুট রাখা। এই বাক্যগুলোর অনন্য উদাহরণ ক্যাথেরিন মুরেল। তিনবার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও দমে যাননি। বরং প্রতিবারই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে। এই কঠিন সময় তাকে শিখিয়েছে আরও মানবিক হতে। তাই তার মতো ক্যান্সার আক্রান্তদের সেবায় শেষপর্যন্ত নিজেই হয়েছেন প্যারামেডিক।

১৬ বছর বয়সে প্রথম ক্যান্সার (ব্লাড ক্যান্সার) শনাক্ত হয় ইংল্যান্ডের ক্যাথরিনের। পরের ছয় মাস ধরে চলে এক্সাসের এই তরুণীর ক্যামোথেরাপি। সুস্থও হয়ে উঠেন। দুর্ভাগ্য, আবারও ক্যান্সার ধরা পড়া তার। একবার কাঁধে আর পরের বার ব্রেস্টে। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি। বরং প্রতিবার-ই নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ১১ বছর লড়াই করেছেন হার না মানা এই নারী। বর্তমানে ২৭ বছর বসয়ী ক্যাথরিন মনে করেন, যে পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে তিনি গেছেন। এমন অবস্থায় আরও অনেকে আছেন। তাদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। এ জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্যারাডেমিক।

Kathrine


অ্যাম্বুলেন্সে ড্রাইভারের সিটে বসা ক্যাথেরিন, ছবি: এসডব্লউএনএস

ক্যাথরিন জানান, অসুস্থতার জন্য বার বার চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছে। এতে অভ্যস্ত হয়েছিলাম আমি। এ জন্য ভেবেছি আমিও কিছু করব। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছি। তাই প্যারামেডিকের কোর্স শেষ করে লন্ডনের দ্য ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে যোগ দেই। এখন সেখানে ক্যান্সার রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবার কাজ তদারকি করেন তিনি।

লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা চলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি তিনি। এ জন্য সিদ্ধান্ত নেন প্যারামেডিক হওয়ার। এর মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা আক্রান্তদের কাছে শেয়ার করতে পারবেন। সঙ্গে ক্যান্সার রোগীদের জন্য কিছু করার স্পৃহাও পূর্ণ হয় তার।

 

kathrine2

প্যারামেডিক পোশাকে ক্যাথেরিন মুরেল (বামে), সুস্থ হয়ে ভি-সাইন দেখাচ্ছেন (ডানে), ছবি:এসডব্লউএনএস

ইর্মাজেন্সি মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান (ইএমটি) হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন ক্যাথরিন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি জানান, এটিই আমাকে নিজের সামর্থ্য ও দক্ষতা সম্পর্কে ঠিকভাবে বুঝতে সহায়তা করেছে। আর আক্রান্তদের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে মিশতে সাহায্য করেছে। আমার মনে হয়,আমি প্যারামেডিক হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের সঙ্গে একজন দক্ষ সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করেন প্যারামেডিক। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ক্যাথরিন জানান, যখন আমি রোগীদের কাছে যাই তখন মনে হয় ঠিক কাজটিই করছি আমি। আর নিজের ভেতর স্বর্গীয় সুখ অনুভব করি, যেটা আমি প্রত্যাশা করেছিলাম।

সূত্র: গ্রাউন্ড নিউজ

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ