বিরাট কোহলির বছর ৩৬। কেবল ভারত নয়, পুরো ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার মাঠে ও মাঠের বাইরে সর্বদা ফিট। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন এর আগে। তার পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ এখন ওয়ানডে ক্রিকেট।
এ বয়সে অ্যাথলেটরা যখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তখন কোহলি দ্বিগুণ উৎসাহে ফিরে আসার মনোভাব পান কোথা থেকে? এই ফিটনেসের রহস্য কী? ২০২৩ সালের এপ্রিলে স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের রুটিন নিয়ে কথা বলেছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার।
ফিট থাকতে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত কিং কোহলি
সেখানে তিনি বলেন, জিমে গিয়ে নিয়ম মেনে যে কেউ শরীর বানাতে পারে। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। খাবারের ভালো লাগা, স্বাদ, পছন্দ একেকজনের একেক রকম। এটা সম্পূর্ণ টেস্টবাডের সঙ্গে সম্পর্কিত। শরীরকে ফিট রাখতে হলে শুধু নিজের পছন্দ নয়, শরীরের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ, সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে বেশ সচেতন কোহলি। ফিটনেস ধরে রাখতে একই ব্র্যান্ডের পানি পান করেন তিনি। নিজের প্রিয় খাবারও বাদ দিয়েছেন খাদ্যতালিকা থেকে। কোহলি পুরোপুরি নিরামিষভোজী এবং এর সঙ্গে শরীরকে মানিয়েও নিয়েছেন।
সতীর্থদের সঙ্গে বিরাট কোহলি, ছবি: পিঙ্কভিলা
কোহলির ভাষ্য, শরীরের জন্য কোনটা ভালো, কোনটা কাজ করছে, এটা শুরুতেই শনাক্ত করে ফেলা জরুরি। একবার তা বুঝে গেলে শরীর সহজেই সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। আমি আগামী ছয় মাস একই ডায়েট অনুসরণ করতে পারব। অন্য কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। কারণ, আমার শরীর এই খাবারের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে।’
তার মতে, এখন আমার খাদ্যতালিকার ৯০ শতাংশ খাবারই ভাপা ও সেদ্ধ করা। কোনো প্রকার মসলা থাকে না সেসব খাবারে। লবণ, মরিচ, লেবু দিয়েই রান্না করা হয় আমার খাবার। স্বাদের ব্যাপারে আমার তেমন একটা বাছাবাছি নেই। সালাদই বেশি পছন্দ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
