ছক এঁকেছি মনে মনে;
পুরোটা দিনের জন্য একটি রিকসা চুক্তিভিত্তিক ভাড়া করে ঘুরে বেড়াবো। অবশ্যই, তোমাকে পাশে নিয়ে। মূল সড়ক ধরে, সম্পূর্ণ দিশাহীন।
আমার সাধারণ হাতে চাইলে তুমি তোমার অসাধারণ হাতখানা রাখতেও পারো; কিংবা- তুমি চাইলে আমিও। দ্বিপাক্ষিক সম্মতি সাপেক্ষে।
বিমোহিত হয়ে যাওয়ার যে বিষয়টা জেনে এসেছি এতোদিন অবধি, তা ঘটেছিলো সেদিনই। কি অসম্ভব তীক্ষ্ম তোমার প্রজ্ঞা। কি অপরুপ আত্মপ্রকাশ। পাহাড়সম আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রতিটি শব্দের ঝংকার যেন নূপুরসঙ্গীত।
টোল পড়া গাল জুড়ে যেন অদ্ভূত বৈচিত্র্যময় কোন রহস্য পায়চারী করছে। চোখ ফিরিয়ে নেয়ার সাহস সঞ্চয় করাও যেন, দুঃসাহসিকতা। চুম্বকের মতো ঝাপটে থাকা দৃষ্টি জুড়ে কেবলই জিগ্গাসা। প্রশ্নকেই যেন বারবার প্রশ্ন করে উত্তর খুঁজে নিতে চাওয়ার একতরফা কথোপকথন।
কতটুকু নিঃস্তব হয়ে গেলে তুমি আছো
কতটুকু নিঃসঙ্গতাকে বলতে পারা যাবে অবমুক্তি,
কতটুকু দৃষ্টি ছাড়িয়ে গেলে ঐ সমুদ্র
কতটুকু দূরত্বে বাঁচে অবশিষ্ট নৈকট্য।
শূন্যতা অন্য অনুসঙ্গে খুঁজে ফেরার এক অবর্ণনীয় পরিতৃপ্তি সেদিন আমি দেখেছিলাম আমার কল্পনায়, তোমার অবয়বে, চোখে মুখে।
তুমিতো অল্পে নও, জুড়ে আছো অনেকটা জুড়েই;
হয়ে অধরা, অজাগতিক কল্পনার বিক্ষিপ্ত নীলের মাখামাখিতে।
প্রার্থনা করি সত্য-
মুক্তহোক তোমার ইচ্ছে পাখিরা
উড়ে যাক ঐ অসীম নীলে, অসম্ভব অবাধ্য রকম;
একটুকরো জোছনায় রয়ে যাক
কাঁচের ফ্রেম ছাপিয়ে ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিলো যে কলঙ্ক।