Home সাহিত্য টাম্পা বিমানবন্দরে ‘ফ্ল্যামিঙ্গো’র বাড়ি!

টাম্পা বিমানবন্দরে ‘ফ্ল্যামিঙ্গো’র বাড়ি!

সুপ্রভা জুঁই 
১৩১ views

ফ্লোরিডার টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্রমণকারীরা বিশাল আকৃতির এক গোলাপি বন্ধুকে না দেখে থাকতেই পারবেন না। ২৪ ফুট লম্বা এই ভাস্কর্যটি দৃশ্যমান হয় ২০২২ সালের আগস্টে। সেই থেকে আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে জায়গাটি। এই পাবলিক আর্টটির নাম ‘Home’ বা ‘বাড়ি’। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন স্থপতি ম্যাথিউ ম্যাজ্জোতা।

বিমানবন্দরে বাড়ি ফেরার একটা গন্ধ আছে। ফ্লোরিডার ক্ষেত্রে ‘বাড়ি’ ধারণাটি শুধু মানুষের জন্যই নয়, বরং এখানে বসবাসকারী প্রচুর বন্যপ্রাণীর জন্যও একটি বাড়ি। ফ্লোরিডার অন্যতম প্রতীকী প্রাণী হলো ফ্ল্যামিঙ্গো। স্থপতি ম্যাজ্জোতা তার এক সাক্ষাৎকারে জানান, ভাস্কর্যে ফ্ল্যামিঙ্গোর আকার অনেক বড়। কারণ, প্রকৃতিকে তিনি মানুষের চাইতে উঁচুতে রাখতে চেয়েছেন। অতিরঞ্জিত এই আকৃতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই একই বাড়ি ভাগাভাগি করে থাকি।

মজার বিষয় হলো, আর্ট ইন্সটলেশনে আয়নার ছাদে এলইডি প্রজেকশন ব্যবহার করে পানির মায়াময়তা বোঝানো হয়েছে। একটি ফ্ল্যামিঙ্গো পানির নিচে মাথা ডুবিয়ে খাবার খুঁজছে— এমনই অনুভূতি পান দর্শনার্থীরা। যেন এটা ফ্ল্যামিঙ্গোর নিরাপদতম আবাসের প্রাত্যহিক একটি কর্ম। আমরাও তার পানির নিচের জগতের ভাগিদার বনে যাই, আমরাও তার বাড়ির অংশীদার হয়ে যাই। পানির নিচের এই জগতে থেকে বোঝা যায়, উপরে রয়েছে পানির সাথে সূর্যের আলোর খেলা।

একটি ফ্ল্যামিঙ্গো পানির নিচে মাথা ডুবিয়ে খাবার খুঁজছে— এমনই অনুভূতি পান দর্শনার্থীরা। ছবি: ম্যাথিউ ম্যাজ্জোতা

একটি ফ্ল্যামিঙ্গো পানির নিচে মাথা ডুবিয়ে খাবার খুঁজছে— এমনই অনুভূতি পান দর্শনার্থীরা। ছবি: ম্যাথিউ ম্যাজ্জোতা

‘বাড়ি’ ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে দুই বছর সময় লেগেছে। বিশালাকার দেখতে এই ফ্ল্যামিঙ্গোকে ভালোবেসে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিবি’। বিমানবন্দরের নানা কোণ থেকে এই বিশাল পাখিটিকে দেখা যায়। দর্শনার্থীদের আনন্দদায়ক মুহূর্ত দেওয়ার পাশাপাশি এই ভাস্কর্যটি অনেক যাত্রীর আলাপ করার স্থান হিসেবে একটি ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে।

ভাস্কর্যটির এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ফ্ল্যামিঙ্গোর নামকরণের জন্য অনলাইনে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সারাবিশ্ব থেকে ৬৫,০০০ নাম জমা পড়ে এবং ‘ফিবি’ নামটি সেখান থেকে বাছাই করা হয়। এরপর থেকেই ‘ফিবি’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় একটি চরিত্র হয়ে দাঁড়ায়।

ম্যাথিউ ম্যাজ্জোতা একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থপতি ও ডিজাইনার। তিনি শিল্প, এক্টিভিজম এবং নগরায়ন— এই তিনটি দিককে ঘিরে কাজ করে থাকেন। একটি নির্মিত পরিবেশ কিভাবে আমাদের সম্পর্ক ও অভিজ্ঞতাকে নকশা করে দেয় সেটা নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করেন এই স্থপতি।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ