Home লাইফস্টাইল সহজেই শিকাঞ্জি

সহজেই শিকাঞ্জি

সুপ্রভা জুঁই
৬১ views

শিকাঞ্জি উত্তর-ভারতের একটি জনপ্রিয় পানীয়। বিশেষ করে গরমের দিনে শরীর শীতল করতে এর জুড়ি নেই। গরমের অন্যতম সমস্যা হলো বদহজম। যদি হজমে একটু গড়বর হয়েছে তো এই দেহের মাঝেই যে গরম গরম দশা হয় তা যেন বাইরের তাপমাত্রাকেও হার মানায়। সেকারণেই ‘বায়ুচড়া’ কথাটি প্রচলিত। পেটের সাথে মস্তিস্কের সম্পর্ক রয়েছে। তাই হজমি শক্তির উপর আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যও নির্ভর করে। চক্রাকারে চলতে থাকা চিন্তাপ্রবাহ, ভুতুড়ে শারীরিক যন্ত্রণা, অস্থিরতা এরসবই বদহজমের কারণে হয়ে থাকে যা আমরা অনেকসময় বুঝে উঠতে পারি না। 

শিকাঞ্জি পানীয়ের বিশেষত্ব এখানেই। কেবল পানিস্বল্পতা দূর করতেই নয়, এতে ব্যবহৃত মশলা এবং খাওয়ার সোডাপানি মূলত হজমে সহায়তা করে। ঘরে বসেই সহজ উপাদানে বানিয়ে ফেলতে পারেন শিকাঞ্জি। চলুন জানা যাক এতে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সম্পর্কে। 

উপকরণ: আস্ত জিরা, কালো গোল মরিচ, বিট লবণ, চিনি, হাজমোলা, চাট মশলা, পুদিনা পাতা, লেবু ও সোডা পানি। 

প্রস্তুত প্রণালী:

শিকাঞ্জি মশলা তৈরি: শিকাঞ্জির মশলা ব্যবহার করে যেহেতু এই পানীয় তৈরি করা হয় তাই একসাথে বেশকিছু মশলা বানিয়ে বাসায় রেখে দিলে পরে পানীয়টি বানাতে আরও কম সময় লাগবে। এজন্য প্রথমে চুলাতে কিছু আস্ত জিরা, গোল মরিচ ও বিট লবন নিয়ে গরম করে ফেলুন। এরপর মশলাগুলো হেমন দেস্তায় ছেঁচে নিন। কয়েকটা হাজমোলাদার দানাও গুড়ো করে নিন। এর সাথে একটু চাট মশলা মিশিয়ে দিলে নিমেষেই তৈরি হয়ে গেল আপনার শিকাঞ্জি মিক্স। একটা কাঁচের বয়ামে দীর্ঘদিনের জন্য এই মশলাটা আপনি সংরক্ষণ করতে পারেন। 

শিকাঞ্জি পানীয় তৈরি: হেমন দেস্তায় সামান্য পুদিনা পাতা ছেঁচে নিন। কয়েক কুচি বরফও হেমন্দ দেস্তায় ভেঙ্গে নিতে পারেন। একটি পরিষ্কার গ্লাসে এই থেতানো পুদিনা পাতা ও বরফ কুচি নিয়ে নিন। বেশ খানিকটা লেবুর রস দিন। আপনি স্বাদের জন্য চিনি ও পানির মিশ্রণ চুলায় দিয়ে একটা সিরাপ বানিয়ে নিতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে চাইলে চিনির পরিবর্তে আরও একটু বিট লবন দিন। এরপর বানিয়ে রাখা শিকাঞ্জি মশলা দিন চা-চামচের দেড় চামচ। এত হাফ গ্লাস পানি মেশান। ভালো করে মিক্স করে নিন। এরপর হাফ গ্লাস সোডাপানি মিশিয়ে নিন। পুরো পানীয়টা সোডা দিয়ে করা গেলেও সোডা ও পানির এই মিক্স শরীরের জন্য বেশি উপকারী।  

পরিবারের সকলের জন্য চটপট বানিয়ে ফেলুন শিকাঞ্জি। বাজারের ক্ষতিকর কোল্ড ড্রিংকের পরিবর্তে এই সুস্বাদু পানীয়টি আপনাদের জন্য হতে পারে একটি নতুন সংযোজন। দুপুরের গুরুপাকের পর এই পানীয় বিশেষভাবে উপকারী। রাতে না খাওয়ায় ভালো। তবে যেকোনো বেলাতেই যদি মনে হয় খাবারটা হজম হয়নি তখন এই পানীয়টা বানিয়ে ফেলতে পারেন। গরমে অধিক ঘামের ফলে আপনার শরীরকে আরাম দিতে ইলেক্ট্রোলাইট বৃদ্ধিতেও এই পানীয়টি সহায়তা করবে।    

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ