স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য মাত্র তিনটি ধাপের পরিচর্যাই যথেষ্ট। প্রথমে ক্লিনজিং, তারপর টোনিং; সবার শেষে ময়শ্চারাইজিং। তবে ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন যারা তাদের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। ব্রণ, বলিরেখা থেকে ট্যান, এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে চাই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ত্বকের যত্নের পণ্য। এ ধরনের পণ্যের মধ্যে ‘স্লিপিং মাস্ক’ অন্যতম।
ত্বকের আর্দ্রতা ও প্রতিটি কোষের সজীবতা বজায় রাখার জন্য স্লিপিং মাস্কের ভূমিকা রয়েছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি মাখতে হয়। রাতভর ত্বকে একটু একটু করে পুষ্টি জোগায় বলে এর নাম স্লিপিং মাস্ক। প্রশ্ন উঠতে পারে মাস্ক মেখে ঘুমনো কীভাবে সম্ভব? কারণ যে কোনও মাস্ক মাখার পর শুকিয়ে গেলে ত্বক টান টান হয়। এই মাস্কের সঙ্গে অবশ্য অন্য ফেস মাস্ক গুলিয়ে ফেললে চলবে না। স্লিপিং মাস্ক এমন এক ধরনের ফেস মাস্ক যা মুখে লাগিয়ে রাখতে হয়। অনেকটা ময়েশ্চারাইজারের মতো। এজন্য একে লিভ-অন (leave-on) মাস্কও বলে।

নারী- পুরুষের ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করে ‘স্লিপিং মাস্ক, ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দূষণের বাড়বাড়ন্তে ত্বকের ক্ষতি হয়। বয়সের আগেই কারও ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে, কারও মুখে আবার রোদের তাপে ট্যান পড়ে যায়। রুক্ষ ত্বক যাদের, তাদের আবার গরমে মুখের লাবণ্যও উধাও হয়। রাতের দিকে এই মাস্ক ব্যবহারে এই সমস্ত সমস্যারই সমাধান পাওয়া যায়। ঠিকমতো ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে সজীব এবং সুন্দর।
ত্বকের ধরন বুঝে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। স্লিপিং মাস্কও ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিৎ। যাদের ত্বকে বলিরেখা উঁকি দিচ্ছে তাদের জন্য ভালো রেটিনল, পেপটাইডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি বা ই সমৃদ্ধ স্লিপিং মাস্ক। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক এসিড, বেনজয়েল পারক্সাইড বা টি ট্রি অয়েল আছে এমন মাস্ক বাছুন। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে হায়ালুরোনিক এসিড, গ্লিসারিন, নায়াসিনামাইড, শিয়া বাটার, ভিটামিন ই আছে এমন স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা, ক্যালেন্ডুলা, ক্যামোমাইল, সিকা রয়েছে, এমন স্লিপিং মাস্ক বেছে নিতে পারেন।