অফিসে বসে টানা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা কাজ করেন অনেকে। এতে স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা তৈরি হয়। কারণ ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে বসে টানা কাজ করার বিপদ আছে। চিকিৎসকদের মত, একটানা বসে কাজ করার ফলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কারণ কেউ শরীরচর্চা করে না। কায়িক পরিমশ্রমও করে না বেশিরভাগ মানুষ। এ ছাড়া রয়েছে রিচ ফুড খাওয়ার অভ্যাস। ফলে বাড়ছে ওজনগত ও হার্টের সমস্যা।
এ ছাড়া একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখেরও ক্ষতি হচ্ছে। এরপরও অফিসের কাজ থেকে বিরত থাকার সুযোগ নেই। এমনও অনেকে আছে যাদের কায়িক পরিশ্রম করারও সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় কিছু বিষয় মেনে চললে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়ানো সহজ হয়।
বিরতি নেওয়া
কাজের ফাঁকে বিরতি নিন। ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর পর কাজ থেকে বিরতি নিয়ে হাঁটাচলা করুন। অফিসের ভেতরে বা চারপাশে একটু হাঁটুন। আধ ঘণ্টা পর ১০ মিনিটের বিরতিও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্ট্যান্ডিং ডেস্ক
একটানা বসে কাজ করার থেকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা অনেক ভালো। করোনা পরবর্তী বিশ্বে ট্রেন্ডিং এই স্ট্যান্ডিং ডেস্ক। বিশেষ করে যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন, তারা স্ট্যান্ডিং ডেস্ক বেশি ব্যবহার করেন। কিছুক্ষণ বসে কাজ করলেন, আবার কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে। একইভাবে ফোনে কথা বলার সময় বসে না থেকে হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে কিছু কায়িক পরিশ্রমও হবে।
অফিসে জিম বা ব্যায়াম
অফিসে আছেন তো কী হয়েছে, ওয়ার্কপ্লেসেও জিম বা ব্যায়াম করা যায়। চেয়ার স্কোয়াটস, স্ট্যান্ডিং ডেস্ক লেগ রেইজ়, ওয়াল পুশ-আপ, চেয়ার লেগ এক্সটেনশনের মতো ব্যায়াম করতে পারেন। এই সব এক্সারসাইজ় আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখেও করতে পারেন। অথবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন। যদি অফিসে জিম ব্যবহার না করা যায় তবে সেক্ষেত্রে কায়িক পরিশ্রম করতে হয় এমন কিছু কাজ করুন। অফিস শেষে বাসা পর্যন্ত হেটে আসার অভ্যাস করতে পারুন।
সূত্র: বুরো সেটিং