২৭
দুধ বহু প্রাচীনকাল থেকেই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি১২, পটাশিয়াম, ফসফরাসসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান শরীরের প্রতিটি কোষকে সজীব ও কর্মক্ষম রাখে। প্রতিদিন সকালে বা রাতে এক গ্লাস দুধ পান করা আমাদের শরীরের জন্য এক ধরনের “সুপারফুড” হিসেবে কাজ করে।
- দুধের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এটি হাড় ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দুধে রয়েছে উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় গঠন ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়কে মজবুত করে, অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও বয়স্কদের জন্য দুধ এক অনন্য পুষ্টি উৎস।
- রাতে উষ্ণ দুধ পান করলে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড ও ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ু শান্ত করে, ঘুম আনতে সাহায্য করে। তাই ভালো ঘুমের জন্য পুষ্টিবিদেরা রাতে কুসুম গরম দুধ পান করার পরামর্শ দেন।
- প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের একটি বড় অংশ পূরণ করে। এটি পেশি গঠনে সহায়তা করে এবং দুর্বলতা কাটায়। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য দুধ একটি চমৎকার পোস্ট-ওয়ার্কআউট রিকভারি ড্রিংক।
- ভিটামিন এ, বি১২ ও বায়োটিন ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগায়। শুধু দুধ পানের জন্য নয়—ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হয়!
- দুধে থাকা ল্যাকটোজ অনেকের জন্য হজমে সহায়ক হতে পারে। তবে যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা বিকল্প হিসেবে প্ল্যান্ট বেসড দুধ বেছে নিতে পারেন।
- দুধ দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। বিশেষ করে স্কিমড বা লো-ফ্যাট দুধ এই দিক থেকে ভালো।
- ভিটামিন বি২, বি১২, জিঙ্ক ইত্যাদি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করার অভ্যাস সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জীবনধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।