বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ে নেই বললেই চলে। সর্বশেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিলো ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’-এ। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ মে মুক্তি পেতে চলেছে ‘লাহোর ১৯৪৭’। এতে বলিউড অভিনেতা সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রীতি। সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে সম্প্রতি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে আড্ডা দিয়েছেন ভক্তদের সঙ্গে। সেখানে এক ভক্তের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জানালেন নিজের প্রথম ভালোবাসা হারানোর হৃদয়বিদারক কাহিনী।
প্রীতি অভিনয় জীবনের একটি মাইলস্টোন হলো বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা রোমান্টিক ট্রাজেডি সিনেমা ‘কাল হো না হো’। ২০০৩ সালের ২৮ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ খান, সাইফ আলী খান ও প্রীতি জিনতা। এটি পরিচালনা করেন নিখিল আদভানি। ২২ বছর পরেও সিনেমাটি বলিউডপ্রেমীদের মনের মধ্যে একটি আলাদা জায়গা জুড়ে বিরাজ করছে । তাঁর সাম্প্রতিক আড্ডা সেশনে এক ভক্ত এ নিয়ে লিখেন, “ম্যাম, আমি আপনার ‘কাল হো না হো’ সিনেমা যতবার দেখি, ততবার শিশুর মতো কাঁদতে থাকি। আপনি ন্যায়না ক্যাথরিন কাপুর চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। এ থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়, ভালোবাসাকে কখনো কখনো দূরেও যেতে দিতে হয়।”
এর জবাবে প্রীতি বলেন, “হ্যাঁ, আমিও যখন এটা দেখি তখন কেঁদে ফেলি। আমরা শুটিংয়ের সময়ও কেঁদেছি। আমার প্রথম ভালোবাসা (প্রেমিক) গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। তাই এই সিনেমা আমাকে সবসময় অন্যভাবে আঘাত করে। এই সিনেমার বেশির ভাগ দৃশ্যেই সব অভিনেতা-অভিনেত্রী স্বাভাবিকভাবেই কেঁদেছেন। আর আমানের মৃত্যুর দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়ে ক্যামেরার সামনে ও পিছনে সবাই কেঁদেছিলেন।”
অবশ্য প্রীতি তাঁর অতীত আঁকড়ে ধরে বসে থাকেননি। ‘মুভ অন’ করেছেন অনেক আগেই। তাঁর জীবনে প্রেম এসেছে বহুবার। বিয়ে করেছেন মার্কিন ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট জেনে গুডএনাফকে। প্রীতি বর্তমানে স্বামী ও দুই যমজ সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন।