হঠাৎ করে চ্যাটজিপিটি কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে মাস্কের দেওয়া প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করে দেন চ্যাটজিপিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যান। পাল্টা ইলন মাস্ককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্টম্যান লেখেন, ‘না, এই প্রস্তাব গ্রহণ করছি না। বলার জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনি চাইলে আমরা ৯.৭৪ বিলিয়র ডলার দিয়ে টুইটার কিনে নিতে পারি।’
জবাবে টুইটার কেনার বিষয়ে অল্টম্যানের কৌতুক অবশ্য ভালোভাবে নেননি ইলন। অল্টম্যানের পোস্টের জবাবে ইলন শুধু লিখেছেন, ‘প্রতারক’। এর আগে ওপেনএআই-এর শুরুর দিকের বিনিয়োগকারী ও সাবেক বোর্ড সদস্য হিসেবে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে গত বছর একটি মামলা দায়ের করেন ইলন মাস্ক। এটি কিনতে ৯৭.৪ বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি স্পেসএক্সের কর্ণধার।
তিনি অভিযোগ করেন, চুক্তি ভেঙে সংস্থার অভ্যন্তরে অনৈতিক কাজ করছেন অল্টম্যান। তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অল্টম্যান জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কিন্তু তার চোখ ওপেনএআইয়ের ওপর; তাই প্রকাশ্যে স্যাম অল্টম্যানের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন। এর অংশ হিসেবে এবার সরাসরি ওপেনএআই দখলে আনার চেষ্টা করছেন মাস্ক।

দিন দিন বেড়েই চলছে মাস্ক-স্যামের দ্বন্দ্ব, ছবি: বিবিসি
ইলন ও অল্টম্যান উভয়েই ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা। পরে কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়ান ইলন মাস্ক, কিন্তু অল্টম্যান থেকে যান। তার হাত ধরেই আসে চ্যাটজিপিটি। ওপেনএআই প্রাথমিকভাবে অলাভজনক সংস্থা হিসেবে চালু হলেও চ্যাটজিপিটির সাফল্যের পর ওপেনএআইকে লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করার চেষ্টা করছেন অল্টম্যান।
চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মাথা ঘুরে গেছে। সবাই বুঝে গেছে, ভবিষ্যৎ এআইয়ের হাতে। গুগল এই দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। ওপেনএআইতে বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। এই বাস্তবতায় ইলন মাস্কও এআই খাতে আসতে চাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে মিলে ওপেনএআই তৈরি করেছিলেন ইলন মাস্ক। তবে ওপেনএআই প্রযুক্তি জগতে ‘বড় নাম’ হয়ে ওঠার আগেই মাস্ক সেই সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে ২০২৩ সালে ইলন মাস্ক নিজের একটি এআই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন। সেটির নাম এক্সএআই।
সূত্র: বিবিসি ও মোর রেডিও